নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি♦♦
চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত মাদারীপুর জেলার শিবচর এলাকার সোহেল মল্লিক হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক দুই আসামীকে গ্রেপ্তার র্যাব।
আজ (৮ জুন) ভোর সাড়ে ৪ টায় সময় নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সাহেব পাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত মাদারীপুর জেলার শিবচর এলাকার সোহেল মল্লিক হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী শাহীন হাওলাদার(৩৮) ও মোঃ মিজানুর রহমান ওরফে কুটুম (৪২), উভয় পিতা- মৃত আব্দুল গফুর হাওলাদার, সাং- জাদুয়ারচর, থানা- শিবচর, জেলা- মাদারীপুর ‘কে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মোঃ মিজানুর রহমান ওরফে কুটুম (৪২) এবং শাহীন হাওলাদার(৩৮) এর সাথে নিহত সোহেল মল্লিক এর ব্যাবসা বানিজ্য নিয়ে দীর্ঘধীন যাবৎ কলহ বিবাদ ছিল। একপর্যায় তাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করতে থাকে এবং তারই জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে ও পেটে আঘাত করে গত ০৮/০৮ ২০১৩ ইং তারিখ, রাত অনুমান ০১.০০ ঘটিকার সময় মাদারীপুর জেলার শিবচর থানাধীন তার নিজ বসত বাড়ীতে সোহেল মল্লিককে হত্যা করে ঘরের ভিতরে খাটের নিচে লেপ বস্তা দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় রেখে আত্মগোপনে চলে যায়।
দীর্ঘ ৯ বছর মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী শাহীন হাওলাদার ও মিজানুর রহমান ওরফে কুটুম নির্মাণ শ্রমিকের ছদ্মবেশে আত্মগোপনে ছিল। উক্ত ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে বিষয়টি র্যাবের নজরে আসলে র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারপিুর ক্যাম্প বিষয়টি আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ফলশ্রুতিতে উক্ত ঘটনার আসামীদ্বয়কে নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সাহেব পাড়া এলাকা এবং নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সাইনবোর্ড এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা ছিদ্দিক মল্লিক (৬৫), মাদারীপুর জেলার শিবচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। যার মামলা নং-০৮, তারিখ- ০৯/০৮/২০১৩ইং, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। উল্লেখ্য যে, র্যাব -৮, সিপিসি-৩ মাদারিপুর ক্যাম্প কর্তৃক উক্ত মামলার অপর এক প্রধান আসামী মোঃ আলামীন (২৭) কে, গত ১৪ মে ২০২৩ খ্রিঃ তারিখে ঢাকা জেলার যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।
এবিষয়ে র্যাবের অভিযানিক টিম কর্মকর্তারা দৈনিক সকালের কাগজ’র এক বার্তায় জানান, দেশের অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড ও অভিযুক্ত এধরনের ঘাতক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে
পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধৃত আসামীদ্বয়কে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।