বিবৃতিতে শরীফুজ্জামান আগা খান বলেন, “বর্তমানে আমরা করোনাকালীন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আছি। করোনাকালে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় একটি বড় সংখ্যক শিক্ষার্থী ঝরে গেছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্য ছাত্রী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নন—এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গভীর সংকটে পড়েছে। এমপিওভুক্তি নিয়ে অনির্দিষ্টকাল অনিশ্চয়তা বিরাজ করলে অনেক সম্ভাবনাময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অপমৃত্যু ঘটবে।”
তিনি আরো বলেন, “সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী এনটিআরসিএ থেকে নন—এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন দেওয়ার কথা বলেন। যেখানে আমরাই দশকের পর দশক বেতন পাই না সেক্ষেত্রে এনটিআরসিএ থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কিভাবে বেতন প্রদান করা সম্ভব? শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির কাজ দ্রুত সম্পন্ন হলেই কেবল এনটিআরসিএ থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বেতন প্রদান করা সম্ভব। অধিকাংশ এনটিআরসিএ’র নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক অন্য জেলা থেকে আগত। এ সকল শিক্ষক বেতন না পেলে তাদের চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তেমনটি ঘটলে প্রতিষ্ঠানে আবারো শিক্ষক সংকট দেখা দেবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আবেদনের পর ভূমি সংশ্লিষ্ট তথ্য জেলা প্রশাসককে এবং স্বীকৃতির তথ্য শিক্ষাবোর্ডকে ৭ দিনের মধ্যে যাচাই করে রিপোর্ট প্রদান করতে বলা হয়। এরপর প্রায় দীর্ঘ দুই মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তথ্য যাচাই করে এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। মার্চের মধ্যে এমপিওভুক্তির ঘোষণা না এলে আমরা অগত্যা কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।