নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে গবেষণা সংস্থা বিবি ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে “নব উত্থানের নব সোপানে বাংলাদেশ” শিরোনামে আজ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ সকাল সাড়ে ১০ টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিবি ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান বাহাদুর বেপারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জননেতা মাহাবুব আলম হানিফ এমপি। তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে! বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বে স্বপ্নের পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্নফুলী টানেল সহ বৃহৎ মেগা প্রকল্প সমুহ বাস্তবায়ন পথে! বিএনপি দেশের উন্নয়ন চোখে দেখে না! জাতিসংঘ অধিবেশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যোগদান বিষয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন জাতিসংঘ থেকে নগদ কিছু পাওয়ার বিষয় নয়! জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বিশ্ব আজ সম্মানের চোখে দেখে! জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ইর্ষনীয় অগ্রগতি অর্জন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে ‘ক্রাউন জুয়েল’ ও ‘মুকুট মণি’ উপাধিতে আখ্যায়িত করেছে আর্থ ইনস্টিটিউট, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, গ্লোবাল মাস্টার্স অফ ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস এবং ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক জননেতা একেএম আফজালুর রহমান বাবু। তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বলেছেন কোভিডমুক্ত একটি বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে টিকার সার্বজনীন ও সাশ্রয়ী মূল্যে প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। গত বছর এ মহতী অধিবেশনে আমি কোভিড-১৯ টিকাকে ‘বৈশ্বিক সম্পদ’ হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। বিশ্বনেতাদের অনেকে তখন এ বিষয়ে সহমত পোষণ করেছিলেন। সে আবেদনে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। বরং আমরা ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে টিকা বৈষম্য বাড়তে দেখেছি। বিশ্বব্যাংকের তথ্য মতে, এ যাবৎ উৎপাদিত টিকার ৮৪ শতাংশ উচ্চ ও উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মানুষের কাছে পৌঁছেছে। অন্যদিকে, নিম্ন আয়ের দেশগুলো ১ শতাশেরও কম টিকা পেয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এ টিকা বৈষম্য দূর করতে হবে। লক্ষ লক্ষ মানুষকে টিকা থেকে দূরে রেখে কখনই টেকসই পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। আমরা পুরোপুরি নিরাপদও থাকতে পারবো না। তাই আমি আবারও আহ্বান জানাচ্ছি, সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত ও সাশ্রয়ী মূল্যে টিকার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। অবিলম্বে টিকা প্রযুক্তি হস্তান্তর টিকার সমতা নিশ্চিত করার একটি উপায় হতে পারে। প্রযুক্তি সহায়তা ও মেধাস্বত্ত্বে ছাড় পেলে বাংলাদেশও ব্যাপক পরিমাণে টিকা তৈরি করতে সক্ষম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি চক্রের শত সহস্র ষড়যন্ত্র আর প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করে, বার বার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিণির্মানের যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন তার বিবরণ সমুহ তুলে ধরেন জননেতা আফজালুর রহমান বাবু। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।