০২. মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সৃষ্টিকর্তা হিসাবে চাইলে সবাইকে একই জাতি, গোত্র ও ধর্মের করে সৃষ্টি করতে পারতেন। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা সৌন্দর্য ও ভারসাম্য রক্ষায় সবাইকে আলাদা করে সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টিকর্তার এ সৃষ্টিকে অস্বীকার করলে স্রষ্টাকেই অস্বীকার করা হবে। যাঁরা মাজার ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা করছেন, তাঁরা রাষ্ট্রের ঐক্যের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করে পতিত অপশক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। সরকারকে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
জাতির এই ক্রান্তিকালে বিশেষত রাষ্ট্র সংস্কার ও পুনর্গঠনের কঠিন সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার মাজারে হামলার ঘটনার সুযোগ নিতে পারে পতিত ফ্যাসীবাদী শক্তি ও তাদের সহযোগিরা। এসব হামলার কারণে তারা এদেশের আলেম-ওলামা ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে। আর মাজার, দরগা, বাউল সংগীত অনুষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের সাথে মাদ্রসার শিক্ষক ও ছাত্রদের জড়িত করি সাম্রাজ্যবাদী শক্তি মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে তাকে যৌক্তিকতা প্রদান করছে। মাজারকে কেন্দ্র করে কোথাও কোনো শরীয়ত বিরোধী অপকর্ম বা সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড চললে সেক্ষেত্রে প্রশাসনের সহায়তায় শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের পথ বেছে নেয়া যেতে পারে। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে হামলা করা, সহিংসতা ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি কোনোভাবেই হামলাকারী নাগরিকদের দায়িত্বশীল মানসিকতার পরিচয় দেয় না। কোন সচেতন, দেশপ্রেমিক ও শান্তিকামী মানুষ এ ধরনের হামলা সমর্থন করতে পারে না। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত হামলা রোধে সরকারকে সহযোগিতা করতে আলেম-ওলামাসহ সকলকে রাজনৈতিক মত-পথের মানুষকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
০৩. বাংলাদেশ হাজার হাজার বছর ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং সকল ধর্ম-বিশ্বাসী মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দেশ বাংলাদেশ। যেকোনো চিন্তা-মতাদর্শ নিয়ে সমাজের যে কারো সমালোচনা থাকতে পারে। কিন্তু শুধুমাত্র ভিন্ন চিন্তা-মত-পথের হওয়ার জন্য কোনো ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা করা যায় না। মাজারগুলোতে ইসলামের যে বয়ানের চর্চা হয় সেই বয়ান কোনো গোষ্ঠী/সংগঠন/রাজনৈতিক দলের পছন্দ নাও হতে পারে। কিংবা মাজার নিয়ে কারো অন্য কোনো সমালোচনা থাকতেই পারে। কারো বয়ান পছন্দ না হলেই কিংবা কারো চিন্তাধারা নিজেদের সাথে না মিললেই কিংবা কাউকে নিয়ে কোনো সমালোচনা থাকলেই যদি কোনো গোষ্ঠী মনে করে যে, তার উপর হামলা চালানো বৈধ বা জায়েজ তাহলে বুঝতে হবে তারা পরিষ্কারভাবেই ফ্যাসিবাদকে অন্যরূপে, অন্য রঙে, অন্য আবরনে ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করছে। তারা ধর্ম কিংবা নানান বাহানায় আসলে নিজেদের জুলুম-লুটপাটের রাজত্বই এদেশে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আর একারণেই সারাদেশের মাজারে-দরবারে যেসব গোষ্ঠী যেকারণেই হামলা চালাক না কেন তার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা এখনই জরুরি।
২৪’র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত এই অন্তর্বর্তী সরকার এখন পর্যন্ত মাজার ও দরবারগুলোর সুরক্ষায় কোনো দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। তারা শুধু মাত্র লিপ সার্ভিস দিয়েছে। এটা কোনোভাবেই কি জনগনের কাম্য হতে পারে ? সরকারের কাছে বিনিত প্রশ্ন ? কেন ও কারা এই সকল হামলার সাথে জড়িত ? আসলে তারা কি চায় ? তারা কি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে ? তারা কি ভিন্ন মতের ও ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ ও সমাজকে ধ্বংস করে বহু মত পথে এই রাষ্ট্রকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত করতে চাচ্ছে ? কেন এতগুলো মাজার ভাঙ্গার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে ? কতগুলো মাজার ভাঙ্গলে সরকারের হুশ ফিরবে ? যেখানে দেখা যাচ্ছে আগাম ঘোষণা দিয়ে বুলডোজার নিয়ে মাজারে হামলা চালানো হচ্ছে, মাজারের কবর থেকে দেহাবশেষ তুলে নিয়ে যাচ্ছে, আগুন দিচ্ছে, আগতদের পেটাচ্ছে, হতাহত করছে, সেই সময় সরকারের দিক থেকে আপাত কেন নীরবতা পালন করছে ? সরকার কি তাহলে তাদের এই ধ্বংসজজ্ঞকে সমর্থন করছে ? এই নীরবতায় দেশের সাধারন ও শান্তিপ্রিয় মানুষ উদ্বিগ্ন। দেশের মানুষ অবিলম্বে মাজারে হামলার বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর হওয়ার ঘোষণার দৃশ্যমান বাস্তবায়ন দেখতে চায়।
০৪. নেত্রকোনায় গত বুধবার একটি মাজারে ওরস হওয়ার কথা ছিল। ৬৪ বছর ধরে ওরসটি হয়ে আসছে। রমজান মাসের কারণে ওরসের আয়োজনও সীমিত করে শুধু দোয়া–মাহফিলের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এরপরও স্থানীয় কথিত উগ্র গোষ্ঠীর মন গলেনি। হামলা চালিয়ে সবকিছু ভন্ডল করে দিয়েছে। দিনাজপুরে ঘোড়াঘাট উপজেলায় এক মাজারে যা ঘটে গেল, তা তাণ্ডব ছাড়া কিছুই নয়। পবিত্র রমজান শুরুর দুদিন আগে শত শত মানুষ ঢুকে মাজারটি ভাঙচুর করে আর কিছু অবশিষ্ট রাখেনি বললে চলে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে সত্যিই শঙ্কিত হতে হয়। মূল মাজারে আগুন ধরিয়ে দেওয়াসহ ওরসের জন্য আনা আসবাবপত্র, গরু–ছাগল সব লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবারও ২ থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত বার্ষিক ওরস আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল মাজার কর্তৃপক্ষ। এ জন্য জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতিও নেওয়া হয়। সিরাতে মুস্তাকিম পরিষদের ব্যানারে মিছিল থেকে বের হয়ে উত্তেজিত জনতা মাজারটিতে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। ঘোড়াঘাটের মাজারে হামলার ঘটনার দৃশ্য ফেসবুকে আলোড়ন তুলেছে। মাজারে আগুন দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ দাউ দাউ করে জ্বলছে মাজার, সেটি সামনে রেখে হামলাকারীরা নামাজ পড়ছেন। এ দৃশ্য দেখে অনেক ধর্মপ্রাণ মানুষও ক্ষোভ প্রকাশ ও সমালোচনা করেছেন। সবশেষ বরগুনায় রাতের আধারে ইসমাইল শাহর মাজারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটাটের দৃশ্য দেখে প্রশ্ন উঠেছে, এভাবে কি চলতেই থাকবে?
আমাদের এই সমাজে ধর্মীয়ভাবে নানা ধারা আছে, বিষয়টি নতুন নয়। ইসলামি গোষ্ঠীগুলো ওয়াজ–মাহফিলে একে ওপরের সমালোচনা করে, একেক ধর্মীয় সমাজ যার যার মতো করে মসজিদ–মাদ্রাসা তৈরি করে নিয়েছে। কিন্তু ক্ষমতাচর্চার মধ্য দিয়ে একে–অপরকে ঘায়েল করা বা দমন করার চেষ্টা সেই অর্থে ছিল না। গত এক–দেড় দশকে ধীরে ধীরে সেটির প্রকাশ ঘটতে দেখেছি আমরা। আওয়ামী ফ্যাসীবাদী শক্তির পতনের পর এর ব্যাপকতা প্রকাশ পেল কেন ? ৫ আগস্টের পর মাজার ভাঙা শুরু হয়ে একপর্যায়ে থেমেও গিয়েছিল। পরে সেটি আবারও ‘জোশের’ সঙ্গে ‘চাঙা’ হচ্ছে।
০৫. কারা মাজার, দরগাহ ও ওরসে হামলা চালাচ্ছে? গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় কথিত ‘তৌহিদি জনতা’ বলে তাদের পরিচিত পাওয়া যাচ্ছে। তাদের নিজেদের বক্তব্যেও সেটি সরাসরি প্রকাশ পেয়েছে। স্থানীয় মানুষজন, মাদ্রাসার শিক্ষক–শিক্ষার্থী, মুসল্লি সমাজ, ধর্মীয় সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী—গত এক দশকে যারা এ শব্দবন্ধ দিয়ে পরিচিত হয়ে উঠেছে মূলত। ‘তৌহিদি জনতা’ শব্দবন্ধের মাধ্যমে মূলত ধর্মের শুদ্ধতা রক্ষার দাবিতে স্থানীয়ভাবে সব ধরনের মানুষই এক হয়ে যায়, থাকে সব ধরনের রাজনীতি ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও। সেখানে বড় ভূমিকা রাখে ধর্মচর্চায় কট্টর ব্যক্তি বা সংগঠনও। সমাজ, রাজনীতি এমনকি ধর্মীয়ভাবেও তাঁদের মধ্যে নানা মতপার্থক্য থাকলেও তাঁদের তখন একটাই পরিচয় হয়ে ওঠে ‘মাজারবিরোধী’। মাজারবিরোধী হওয়া বা মাজারের পক্ষে হওয়া কোনটাই দোষের কিছু নয়। কোনো কিছুর বিরোধিতা বা অনুসারী হওয়া ব্যক্তির চিন্তার অংশ, সেই সঙ্গে তার গণতান্ত্রিক চরিত্রেরও অংশ বটে। সেখানে যদি বলপ্রয়োগ, দমন ও ফৌজদারি অপরাধ যুক্ত হয়ে যায়, তখনই আপত্তির বিষয়। কারণ, এখানে সমাজে অরাজকতা তৈরি ও শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্ন হওয়ার পাশাপাশি ধর্মীয় বিশ্বাস পোষণ এবং আচার পালন নিয়ে একপ্রকার ভীতিকর মনোভাবও তৈরি হওয়ার শঙ্কা তৈরী হচ্ছে। এসকল কারণে সমাজে বিরাজমান অসহিষ্ণুতার ফাটল আরও গভীর থেকে গভীরতর হতে বাধ্য। ফৌজদারি অপরাধের চেয়ে এসব ক্ষতিই বরং দীর্ঘস্থায়ী এবং অনেকটা অমোচনীয়।
কে ‘বাতিল’, কে ‘ভণ্ড’—তা নিয়ে তর্কবিতর্ক থাকতেই পারে। হক–বাতিলের এই বিতর্ক আমাদের সমাজে নতুন নয়। কিন্তু এভাবে হামলা–ভাঙচুর–লুটপাটের ঘটনা কেন ঘটবে ? মাজার নিয়ে জায়গাজমি বা স্থানীয় কোনো বিরোধ থাকলে এর সমাধান আইনি বা প্রশাসনিকভাবে করার সুযোগ আছে; সেটি গ্রহণ না করে কথিত গোষ্ঠীটি যা করছে, তা একপ্রকার সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদী ক্ষমতা অপচর্চা। এত দিন তারা সেই সুযোগ পায়নি, তাই ফ্যাসীবাদের পতনের পর তারা নিজেদের অতি ক্ষমতায়িত মনে করছে। অথচ একসময় এই তৌহিদি জনতার অনেকেই শেখ হাসিনা সরকারের জুলুমের শিকার হয়েছিল। সেটি তারা এখন ভুলে গেছে, তাদের মনে রাখতে হবে, এগুলো ভুলে গিয়ে নিজেরাই সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার যে কাজ করছেন তাতে হিতে বিপরিত হতে পারে।
সরকার এখানে কী করছে? একপ্রকার চুপ মেরে থেকে ঘটনাগুলো একের পর এক ঘটতে দিচ্ছে। অনেক জায়গায় প্রশাসন যা করছে, তা বরং নিজেদের ক্ষমতাবান মনে করা ওই সব গোষ্ঠীর পক্ষেই কাজ করছে। তারা এসে হামলা করে, ভয় দেখায়, হুমকি দেয়। তখন প্রশাসন গিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার স্বার্থে ওরস বন্ধ করে দেয়। এখানে সরকারের সদিচ্ছাকে প্রশ্ন বিদ্ধ ? সরকার চাইলে সব মাদ্রাসা বোর্ডের প্রতিনিধি, ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, সম্মানিত ও প্রভাবশালী ধর্মীয় ব্যক্তি ও খতিবদের নিয়ে এ বিষয়ে একটি আলোচনায় বসতে পারত। এ সংকট কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, তার একটা সমাধান খুঁজতে পারত এবং সেই সঙ্গে তাদের একপ্রকার নির্দেশনাও দিতে পারত। আইনজীবী সাইফুল হত্যাকাণ্ড, ইসকন নেতা চিন্ময়ের গ্রেপ্তার এবং ভারতীয় অপপ্রচার ইস্যুতে সরকার কিন্তু এ ধরনের বৈঠক করেছিল। তাহলে এখন কেন নয়? সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টা শুরু থেকে মাজার–দরগাহর ওপর হামলার বিরোধিতা করে আসলেও তাদের ঢাকায় বসে এসব বিবৃতি ও হুঁশিয়ারি কোনো কাজে আসছে না, তা প্রতিনিয়ত পরিলক্ষিত হচ্ছে। একের পর এক মাজার–ওরস আক্রান্ত হচ্ছে, একজন উপদেষ্টাকেও দেখা গেল না, ঘটনাস্থলে গিয়ে হাজির হতে বা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে।
বহু মত ও পথের এই বাংলাদেশে মাজারকে মাজারের মতো থাকতে দিয়ে সরকারকে সকল মাজার ও দরবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ভেঙ্গে ফেলা প্রত্যেকটি মাজার সরকারের পক্ষ থেকে পুননির্মাণ করে দিতে হবে। এছাড়াও সকল প্রকার মব জাস্টিস, মোরাল পুলিশিং, নারীবিদ্বেষী প্রচারণা বন্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে এবং যারা এগুলো করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে আইনী ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দিতে হবে এবং এটা নিশ্চিত করতে হবে যে শুধুমাত্র ভিন্ন মতের হওয়ার কারণে কিংবা যেকোনো মাধ্যমে যেকোনোপ্রকার ভালো বা মন্দ কথা বা উক্তির জন্য কেউ কারো উপর হামলা করতে পারবে না। হামলা করলে সরকার তার বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে। সরকার কেন বুঝতে পারছে না, বাংলাদেশ উগ্রপন্থীদের দখল চলে যাচ্ছে বলে আওয়ামী ও ভারতীয় যে বয়ানের ছড়াছড়ি, সেগুলোকেই একপ্রকার ‘বৈধতা’ দেয় তৌহিদি জনতার এসব কর্মকাণ্ড?
[লেখক : রাজনীতিক ও কলামিস্ট, মহাসচিব, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ও চেয়ারপার্সন, ভয়েস অব কনসাস সিটিজেন-ভিসিসি]
E-mail : gmbhuiyan@gmail.com