আমিরুল ইসলাম কবিরঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ৫নং মহদীপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে নামাজের পর ফ্যান বন্ধ করার কারনে মুসল্লী আঃ রাজ্জাক (৬২)’কে মারধর ও দাড়ি মোবারক ছিঁড়ে ফেললো প্রভাবশালী শহিদুল ইসলাম (৫৫)..! এলাকায় উত্তেজনা। অবশেষে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ভুল স্বীকার করে সকল মুসল্লীদের সামনে ক্ষমা প্রার্থনা করলে শান্তিপূর্ণ ফয়সালা।
সরেজমিনে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী জানান, পলাশবাড়ী উপজেলার ৫নং মহদীপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মো. আঃ রাজ্জাক গত সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ওই গ্রামের জামে মসজিদ এ জোহরের নামাজ আদায় করছিলেন।
নামাজ শেষে তিনি মসজিদের বৈদ্যুতিক ফ্যান গুলোর সুইস বন্ধ করে দেন। এসময় ওই মসজিদ সংলগ্ন বাড়ির অপর মুসল্লী শহিদুল ইসলাম (৫৫) নামাজ শেষে ফ্যান চালু করে আরাম করছিলেন। তবে সেই ফ্যানটি চালু ছিলো এবং সেটা বন্ধ করেননি মুসল্লী আঃ রাজ্জাক।অন্য ফ্যানগুলো কেনো বন্ধ করা হলো এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও বাকবিতন্ডা শুরু হয়।
এক পর্যায়ে মসজিদ সংলগ্ন বাড়ির মুসল্লী প্রভাবশালী শহিদুল বৃদ্ধ মুসল্লী আঃ রাজ্জাক (৬২)’কে অহেতুক মারধর ও স্যান্ডেল পেটা করে দাড়ি মোবারক ছিঁড়ে ফেলে। আর শহিদুলের বাবা সনজল মিয়া ভুক্তভোগীকে কোমর জাপটে ধরে রাখে বলে অভিযোগ করেন আঃ রাজ্জাক।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে এব্যাপারে অভিযুক্ত প্রভাবশালী শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে ঔদ্ধত্যপুর্ণ আচরণ করে মুখ খুলতে রাজি হননি।
অবশেষে গতকাল শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) জুম্মার নামাজ শেষে সকল মুসল্লীদের সামনে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম তাঁর ভুল স্বীকার করেন।
তিনি সকল মুসল্লীদের সামনে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং এ ধরণের কাজ আর কখনোই হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিলে ঘটনার শান্তিপূর্ণ ফয়সালা করা হয়।