পঞ্চগড়ের বোদায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সুমন ইসলাম (২১) এর মরদেহটি আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তোলা হয়েছে। দাফনের ১৭৪ দিন পর নিহত সুমন ইসলামের লাশটি উত্তোলন করা হলো।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম ফুয়াদের উপস্থিতিতে উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের আমিননগর গ্রাম থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
এ সময় সুমন ইসলাম হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই মনিরুল ইসলাম, বোদা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিম উদ্দীন, সাকোয়া ইউ’পি চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজুল ইসলাম সহ বোদা থানার একদল পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। নিহত সুমন ইসলাম আমিননগর গ্রামের মৃত হামিদ আলীর ছেলে।
নিহত সুমন ইসলামের হত্যা মামলাটি ৫ আগষ্ট ঢাকার আশুলিয়া থানার দায়ের করা হয়। যার মামলা নং ৮।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম ফুয়াদ বলেন, আদালতের নির্দেশে সুমন ইসলামের লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, নিহত সুমন ইসলাম বৈষম্য বিরোধী কোটা সংস্কার ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানাধীন বাইপাইল মোড় আরএমএসটি টাওয়ারের দক্ষিণ পাশে গুরুত্বর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগষ্ট দুপুর ২.২৫ মিনিটে মুত্যুবরণ করেন। ড়শ ৮ আগষ্ট সকাল ১০ টায় তার গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দায়ন করা হয়।
নিহত সুমন ইসলামে লাশ উত্তোলন করা পর তার মা মামলার বাদী কাজলী বেগম সাংবাদিকদের বলেন, সঠিক ও ন্যায় বিচারের আশায় আমার ছেলের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করছি।
এব্যাপারে সুমন ইসলাম হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এস আই মনিরুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে সুমন ইসলামের লাশটি উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে সুমন হত্যাকান্ডের সঠিক ভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি আবাব দাফন করা হবে বলে তিনি জানান।