সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জোট এর সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট কেন্দ্র এর সাধারন সম্পাদক বিধান দাস। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) সভাপতি এম এ সামাদ, সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুর রহমান, সদস্য এলিজা রহমান, সোস্যালিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি কমরেড শাহীন আহমেদ, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি মুফতি তালেবুল ইসলাম ও সমতা পার্টির সভাপতি সামছুল হক বিপ্লবী কমিউনিস্ট কেন্দ্রের নারী নেত্রী তমালিকা দাস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তিন মাসের অধিক সময় ক্ষমতাসীন হলেও আজও পর্যন্ত রাষ্ট্রের সংস্কার সহ কোন কাজে হাত দিতে পারে নি। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় নি। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে গড়ে ওঠা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙ্গে ফেলার কোন কার্যকর উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায় নি।
বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ না নিলেও গ্রামীণ ব্যাংকের ৫ বছরের জন্য করমুক্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার অধ্যাদেশ জারী করা হয়েছে।
বক্তারা উল্লেখ করেন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায়, ফলে পিটিয়ে মানুষ হত্যা সহ চুরি, ডাকাতির ঘটনা ঘটছে অহরহ। দেশে মব জাস্টিসের নামে বিশৃঙ্খলা বেড়ে গেছে। মানুষের জান মালের নিরাপত্তা নেই। অবিলম্বে মানুষের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ধর্মের নামে বাড়াবাড়ি চলছে। ইসকন সহ সকল পক্ষের ধর্ম নিয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করার ও দাবি জানান। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে পাচারকৃত টাকা ফেরত আনার দাবী করে উল্লেখ করেন টাকা ফেরত আনা সহ টাকা পাচার কারী দের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান। সেই সাথে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে শেখ হাসিনা কে অভিযুক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান হয়। বক্তারা অবিলম্বে নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষনার ও দাবি জানিয়ে বলেন এই সরকার ইতিমধ্যে ব্যর্থ হয়েছে। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।