ইদানীং জমজমাট তাফসীরুল কোরআন মাহফিলের জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন দেখে একজন আল্লামার কথা খুব মনে পড়ছে। মনে পড়ছে ঐতিহাসিক তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে দরদ ভরা সুললিত কন্ঠে কোরআনের বানী কখনও কখনও দরাজ কন্ঠের হুংকার। তিনি আর কেউ নন। আমি বলছি একজন আল্লামা কথা। একজন শহীদ মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর কথা।
আমি স্থায়ী ভাবে ঢাকা শহরে বাস করি ২০০০ সাল থেকে। এ শহরে বাস করত প্রায় ১ কোটি মানুষ। তখন আমি এটা ভেবে পুলকিত হতাম, এই কোটি অপরিচিত মানুষের ভীড়ে আছেন একজন আল্লামা সাঈদী। যাকে একপলক দেখার জন্য, একটু খানি যার কন্ঠ শোনার জন্য উম্মুখ হয়ে থাকতো সারা বাংলাদেশ। কি মুসলিম, কি অমুসলিম! কী এক অদৃশ্য টান! নাকি কুরআনের মু’জেজা! ইসলাম প্রচারে তিনি ছিলেন একটা জীবন্ত ইতিহাস। কালের কিংবদন্তি।
একসময় এই উপমহাদেশে আজিমুশশান, ইছালে ছওয়াব, ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল ইত্যাদির মধ্যে ইসলাম প্রচার সীমাবদ্ধ ছিল। আল্লামা সাঈদীও এসব মাহফিলে বয়ান পেশ করেছেন সেই ১৯৬৭ সাল থেকে। ১৯৭৩ সালে তিনি তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের সূচনা করেন। সমসাময়িক বিষয়কে কুরআন-হাদীসের আলোকে বিজ্ঞানভিত্তিক উপস্থাপন করতেন। তাঁর সুললিত অথচ দরাজ কন্ঠের তাফসির মুসলমানদের ধর্ম-কর্মে মনোযোগী হতে উৎসাহিত করতো। অন্য ধর্মের কেউ কেউ তাঁর হাতে ইসলাম গ্রহণ করতেও দেখা গেছে বিভিন্ন সময়।
দল-মত, ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব একাকার হয়ে তাঁর ওয়াজ শুনতো। স্বতন্ত্র স্টাইল সকল ওয়ায়েজ থেকে তাঁকে আলাদা করেছে। এদেশে তিনিই প্রথম তাফসির মাহফিলে কুরআনের ভাবকে বৈপ্লবিক ভাবে উপস্থাপন করেন। তাঁর শ্রোতাদের বিরাট একটা অংশ ছিল উচ্চ শিক্ষিত ও যুবক শ্রেণি। একসময় (বিশেষ করে এরশাদের শাসনামলে) তাঁর মাহফিলে নিয়মিত বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করতো কিছু এতিম-বামপন্থী। মাহফিলের দিন ডাকতো হরতাল। দেখা যেত, হরতালে সারাদিন মানুষ বাসায় অবসর সময় কাটিয়ে সন্ধ্যায় দল বেঁধে মাহফিলে চলে আসত। ফলে ‘হরতাল সফল মাহফিলও সফল’।
মাহফিলে ‘নারায়ে তাকবির-আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি সাঈদীর মাহফিলেই প্রথম দেখা গেছে। এদেশে ‘ব্যাংক ব্যবস্হায় ইসলামি শরিয়া’ প্রবর্তনে কাজ করাদের অন্যতম তিনি। তাফসির-ওয়াজ ছাড়াও ৮৬টি ধর্মীয় গ্রন্থের রচয়িতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।
ধর্মীয় শিক্ষা প্রসারে অনন্য অবদান রাখেন। দেশের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি প্রতিষ্ঠান তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতাদের তিনি একজন। আরেক প্রসিদ্ধ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান নরসিংদী জামেয়া কাসেমীয়া আলীয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় তাঁর প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও পরামর্শ ছিল। তিনি এ মাদ্রাসার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন প্রায় দুই যুগ। মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা দেশের আরেক প্রখ্যাত আলেম মাওলানা সৈয়দ কামালুদ্দিন জাফরী। সাঈদী সাহেব খুলনা শহরে প্রতিষ্ঠা করেন দারুল কোরআন সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা ও দারুল কোরআন সিদ্দিকীয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসা। দেশের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হিসেবে এখন দায়িত্ব পালন করছেন তাঁর সুযোগ্য সন্তান আলহাজ্ব শামিম সাঈদী। যিনি আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনেরও চেয়ারম্যান।
মাদ্রাসা শিক্ষকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ’-এর তৎকালীন সভাপতি মাওলানা সাঈদী নিজ জেলা পিরোজপুর শহরে প্রতিষ্ঠা করেন ‘আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন’। যার মাধ্যমে এখনো পরিচালিত হচ্ছে বিবিধ শিক্ষা, চিকিৎসা ও সেবামূলক কার্যক্রম। এর মধ্যে মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, মহিলা মাদ্রাসা, কারিগরি স্কুল, মহিলা কারিগরি স্কুল, ইয়াতিমখানা, হেফজ মাদ্রাসা, কিন্ডারগার্টেন, দাতব্য চিকিৎসালয় অন্যতম।
৫০ বছরের বেশি সময় ইসলামের খেদমত করা আমার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার এ মানুষটিকে একান্তে দেখা ও কথা বলার প্রথম সুযোগ হয়েছিলো যতদূর মনে পরে, ১৯৯৭ সালের শুরুতে কুমিল্লা যুক্তিখোলা ফাজিল মাদ্রাসার তাফসির মাহফিলে। তাঁকে ঢাকার শহীদ নগরের বাড়ি থেকে অভ্যর্থনা জানিয়ে সফরসঙ্গী হয়েছিলাম। মাহফিল ছিলো সকাল ১০ টায়। সকালে যুক্তিখোলার ‘নাটোপাড়া’য় লাকসাম দৌলতগন্জ গাজীমুড়া আলীয়া মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল হাকিম সাহেবের ছোটভাইয়ের বাড়িতে তাঁর সাথে নাস্তা করার সুযোগে উনার সীমিত আহার ও বিনয়ী স্বভাবের প্রাণবন্ত সময়টা উপভোগ করেছি।
পিরোজপুর-১ আসন থেকে তিনি দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। অর্থাৎ রাজনীতিতেও তিনি সক্রিয় ছিলেন। আমাদের দেশে একসময় রাজনীতিতে উচ্চ শিক্ষিতরা থাকলেও তা যেন ধীরে ধীরে কমে আসছে। সমকালীন সময়ে যে কজন সৎ ও মেধাবী রাজনীতিবিদ ছিলেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী তাদের অন্যতম। তিনি যে রাজনীতির করতেন, সে রাজনীতির সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। তবে তাঁর রাজনীতির পিছনের মানুষটির সাথে আমার সখ্যতা আছে। এদেশের একজন প্রথিতযশা আলেম হিসেবে তাঁর অনবদ্য সব অবদানের জন্য আমি তাঁকে গভীর শ্রদ্ধার সাথেই স্মরণ করি এবং আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
আমার মত বাংলাদেশের লাখো মানুষ তাঁকে স্মরণ করে। ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভুতির দিকে তাকিয়ে হলেও আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মুক্তি দেওয়া উচিৎ ছিলো। রাজনৈতিক জীবনের বাইরে ইসলাম প্রচারে তাঁর অন্যান্য যেসব অবদানের কথা উপরে উল্লেখ করেছি, তা কি সরকার বিবেচনায় নিতে পারতেন না? বয়োবৃদ্ধ মানুষটা জীবনের শেষ কিছুদিন তার পরিবারবর্গের সাথে ইবাদত বন্দেগী করে সময় কাটানোর সুযোগ পেলে আমরা শান্তি পেতাম। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে এই দোয়াই করি ফ্যাসিবাদি খুনি হাসিনা ও হাসিনার দোসররা আল্লামা সাঈদীর প্রতি যে জুলুম করেছেন তার সর্বোচ্চ শাস্তি তারা ইহকাল ও পরকালে ভোগ করবেন।[লেখক : হামদুল্লাহ আল মেহেদী, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ লেবার পার্টি
মোবাইল: ০১৭২০৫৫৭০০৪]
আমি স্থায়ী ভাবে ঢাকা শহরে বাস করি ২০০০ সাল থেকে। এ শহরে বাস করত প্রায় ১ কোটি মানুষ। তখন আমি এটা ভেবে পুলকিত হতাম, এই কোটি অপরিচিত মানুষের ভীড়ে আছেন একজন আল্লামা সাঈদী। যাকে একপলক দেখার জন্য, একটু খানি যার কন্ঠ শোনার জন্য উম্মুখ হয়ে থাকতো সারা বাংলাদেশ। কি মুসলিম, কি অমুসলিম! কী এক অদৃশ্য টান! নাকি কুরআনের মু’জেজা! ইসলাম প্রচারে তিনি ছিলেন একটা জীবন্ত ইতিহাস। কালের কিংবদন্তি।
একসময় এই উপমহাদেশে আজিমুশশান, ইছালে ছওয়াব, ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল ইত্যাদির মধ্যে ইসলাম প্রচার সীমাবদ্ধ ছিল। আল্লামা সাঈদীও এসব মাহফিলে বয়ান পেশ করেছেন সেই ১৯৬৭ সাল থেকে। ১৯৭৩ সালে তিনি তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের সূচনা করেন। সমসাময়িক বিষয়কে কুরআন-হাদীসের আলোকে বিজ্ঞানভিত্তিক উপস্থাপন করতেন। তাঁর সুললিত অথচ দরাজ কন্ঠের তাফসির মুসলমানদের ধর্ম-কর্মে মনোযোগী হতে উৎসাহিত করতো। অন্য ধর্মের কেউ কেউ তাঁর হাতে ইসলাম গ্রহণ করতেও দেখা গেছে বিভিন্ন সময়।
দল-মত, ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব একাকার হয়ে তাঁর ওয়াজ শুনতো। স্বতন্ত্র স্টাইল সকল ওয়ায়েজ থেকে তাঁকে আলাদা করেছে। এদেশে তিনিই প্রথম তাফসির মাহফিলে কুরআনের ভাবকে বৈপ্লবিক ভাবে উপস্থাপন করেন। তাঁর শ্রোতাদের বিরাট একটা অংশ ছিল উচ্চ শিক্ষিত ও যুবক শ্রেণি। একসময় (বিশেষ করে এরশাদের শাসনামলে) তাঁর মাহফিলে নিয়মিত বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করতো কিছু এতিম-বামপন্থী। মাহফিলের দিন ডাকতো হরতাল। দেখা যেত, হরতালে সারাদিন মানুষ বাসায় অবসর সময় কাটিয়ে সন্ধ্যায় দল বেঁধে মাহফিলে চলে আসত। ফলে ‘হরতাল সফল মাহফিলও সফল’।
মাহফিলে ‘নারায়ে তাকবির-আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি সাঈদীর মাহফিলেই প্রথম দেখা গেছে। এদেশে ‘ব্যাংক ব্যবস্হায় ইসলামি শরিয়া’ প্রবর্তনে কাজ করাদের অন্যতম তিনি। তাফসির-ওয়াজ ছাড়াও ৮৬টি ধর্মীয় গ্রন্থের রচয়িতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।
ধর্মীয় শিক্ষা প্রসারে অনন্য অবদান রাখেন। দেশের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি প্রতিষ্ঠান তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতাদের তিনি একজন। আরেক প্রসিদ্ধ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান নরসিংদী জামেয়া কাসেমীয়া আলীয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় তাঁর প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও পরামর্শ ছিল। তিনি এ মাদ্রাসার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন প্রায় দুই যুগ। মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা দেশের আরেক প্রখ্যাত আলেম মাওলানা সৈয়দ কামালুদ্দিন জাফরী। সাঈদী সাহেব খুলনা শহরে প্রতিষ্ঠা করেন দারুল কোরআন সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা ও দারুল কোরআন সিদ্দিকীয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসা। দেশের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হিসেবে এখন দায়িত্ব পালন করছেন তাঁর সুযোগ্য সন্তান আলহাজ্ব শামিম সাঈদী। যিনি আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনেরও চেয়ারম্যান।
মাদ্রাসা শিক্ষকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ’-এর তৎকালীন সভাপতি মাওলানা সাঈদী নিজ জেলা পিরোজপুর শহরে প্রতিষ্ঠা করেন ‘আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন’। যার মাধ্যমে এখনো পরিচালিত হচ্ছে বিবিধ শিক্ষা, চিকিৎসা ও সেবামূলক কার্যক্রম। এর মধ্যে মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, মহিলা মাদ্রাসা, কারিগরি স্কুল, মহিলা কারিগরি স্কুল, ইয়াতিমখানা, হেফজ মাদ্রাসা, কিন্ডারগার্টেন, দাতব্য চিকিৎসালয় অন্যতম।
৫০ বছরের বেশি সময় ইসলামের খেদমত করা আমার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার এ মানুষটিকে একান্তে দেখা ও কথা বলার প্রথম সুযোগ হয়েছিলো যতদূর মনে পরে, ১৯৯৭ সালের শুরুতে কুমিল্লা যুক্তিখোলা ফাজিল মাদ্রাসার তাফসির মাহফিলে। তাঁকে ঢাকার শহীদ নগরের বাড়ি থেকে অভ্যর্থনা জানিয়ে সফরসঙ্গী হয়েছিলাম। মাহফিল ছিলো সকাল ১০ টায়। সকালে যুক্তিখোলার ‘নাটোপাড়া’য় লাকসাম দৌলতগন্জ গাজীমুড়া আলীয়া মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল হাকিম সাহেবের ছোটভাইয়ের বাড়িতে তাঁর সাথে নাস্তা করার সুযোগে উনার সীমিত আহার ও বিনয়ী স্বভাবের প্রাণবন্ত সময়টা উপভোগ করেছি।
পিরোজপুর-১ আসন থেকে তিনি দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। অর্থাৎ রাজনীতিতেও তিনি সক্রিয় ছিলেন। আমাদের দেশে একসময় রাজনীতিতে উচ্চ শিক্ষিতরা থাকলেও তা যেন ধীরে ধীরে কমে আসছে। সমকালীন সময়ে যে কজন সৎ ও মেধাবী রাজনীতিবিদ ছিলেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী তাদের অন্যতম। তিনি যে রাজনীতির করতেন, সে রাজনীতির সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। তবে তাঁর রাজনীতির পিছনের মানুষটির সাথে আমার সখ্যতা আছে। এদেশের একজন প্রথিতযশা আলেম হিসেবে তাঁর অনবদ্য সব অবদানের জন্য আমি তাঁকে গভীর শ্রদ্ধার সাথেই স্মরণ করি এবং আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
আমার মত বাংলাদেশের লাখো মানুষ তাঁকে স্মরণ করে। ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভুতির দিকে তাকিয়ে হলেও আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মুক্তি দেওয়া উচিৎ ছিলো। রাজনৈতিক জীবনের বাইরে ইসলাম প্রচারে তাঁর অন্যান্য যেসব অবদানের কথা উপরে উল্লেখ করেছি, তা কি সরকার বিবেচনায় নিতে পারতেন না? বয়োবৃদ্ধ মানুষটা জীবনের শেষ কিছুদিন তার পরিবারবর্গের সাথে ইবাদত বন্দেগী করে সময় কাটানোর সুযোগ পেলে আমরা শান্তি পেতাম। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে এই দোয়াই করি ফ্যাসিবাদি খুনি হাসিনা ও হাসিনার দোসররা আল্লামা সাঈদীর প্রতি যে জুলুম করেছেন তার সর্বোচ্চ শাস্তি তারা ইহকাল ও পরকালে ভোগ করবেন।[লেখক : হামদুল্লাহ আল মেহেদী, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ লেবার পার্টি
মোবাইল: ০১৭২০৫৫৭০০৪]