নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ভোজ্য তেলের মুল্য কমানোর উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, অযোগ্য মন্ত্রী-আমলাদের কারণে দেশ আজ লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি। এসকল অযোগ্য মন্ত্রী-আমলা আর কমিশন ভোগীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে না পারলে দেশে ভয়াবহ সংকটে পতিত হতে বাধ্য।
সোমবার (৯ মে) নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ’র মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় পরিপূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। সাধারণ জনগণের আয় বৃদ্ধি না পেলেও বেশি মূল্যে নিত্যপণ্য কিনতে বাধ্য করে লুটেরা ব্যবসায়ীদের পকেট ভারী করছে। সাধারণ মানুষকে আজ প্রয়োজনের তুলনায় কম খেয়ে বাঁচার লড়াই করতে হচ্ছে প্রতিমূহুর্তে।
ন্যাপ মহাসচিব আরও বলেন, ঈদের আগে বাজার থেকে ভোজ্য তেল উধাও করে এখন ইচ্ছেকৃতভাবে অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি করা হলো। যা তুঘলকি কারবার। এটা সরকার ও কথিত তেল বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সিন্ডিকেটের সাথে গোপন সমন্বয়ের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। তার উপর ভোজ্য তেলের মূল্যবৃদ্ধি মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা-এর শামিল।
তিনি বলেন, দেশ এবং সরকার আজ লুটেরা ব্যবসায়ীদের হাতে বন্দি। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা দেশ চালাচ্ছে। বর্তমান সরকার এদের রক্ষক, পাহারাদার। তাইতো ঈদের সময় মানুষকে জিম্মি করে, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি করলো।
তিনি বলেন, জাতির জন্য এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রীরা বিশ্বব্যাপী বাজারমূল্য বৃদ্ধির গল্প শোনাচ্ছেন। এটা জনগণকে প্রতারণা করা ছাড়া কিছু নয়। এটা স্পষ্ট যে, বাজার সিন্ডিকেটের উপর সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। তিনি ভোজ্যতেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা’র সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি অতিরিক্ত মহাসচিব এডভোকেট জাফর আহমেদ জয়, বাংলাদেশ ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব মো. মহসীন ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, জাতীয় নারী আন্দোলন সভাপতি মিতা রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।