নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভোজ্যতেলে নৈরাজ্যের সীমা নেই মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামি পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, বর্তমানে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়তি। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে নিত্যপণ্যের মধ্যে অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে ভোজ্যতেল। এ তেল নিয়ে তেলেসমাতির শেষ নেই। দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এ লাফ বিশ্ব বাজারকেও হার মানিয়েছে। বাংলাদেশের মতো বিশ্বের অন্য কোনো দেশে নিত্যপণ্যের দাম এত না। বিশেষ করে ভোজ্যতেল ও চালের। তাই মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় রেখে এ দুটিতে লাগাম টেনে ধরা উচিত।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর মৎসভবন, শাহবাগ, টিএসসি এলাকায় বাংলাদেশ ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় নারী আন্দোলনের সভাপতি মিতা রহমানের পক্ষ থেকে দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার প্রদান অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশীয় বাজারে ভোজ্যতেল নিয়ে নৈরাজ্য দীর্ঘদিনের। সদ্য বিদায়ী বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এ নৈরাজ্য বেশি দেখা গেছে। তা চলতি বছরের শুরুতেও ছোঁয়া লেগেছে। অর্থাৎ ফের বাড়ছে সয়াবিন তেলের দাম। এ অবস্থা চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাবে। তাদের বেচে থাকাই দায় হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক উত্তসূরী জননেতা জেবেল রহমান গানির নেতৃত্বে গণমানুষের মুক্তি লড়াইয়ে, দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
নারী নেত্রী মিতা রহমান সারা দেশের অসহায় শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অসহায় মানুষ শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ হাড় কাঁপানো শীতে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো বিত্তবানদের নৈতিক ও ঈমানি দায়িত্ব। আমি সাধ্য অনুযায়ী সেই দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছি। আমার নেতা জেবেল রহমান গানির আদর্শের ভিত্তিতে সমাজ পরিবর্তনে কাজ করাই আমার লক্ষ্য।
বাংলাদেশ ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় নারী আন্দোলন সভাপতি মিতা রহমানের নেতৃত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মিতা রহমানের স্বামী মির্জা পিয়াল ও একমাত্র পুত্র মির্জা রাফু, ছাত্রনেতা এস এ সাব্বির, সোহাগ রহমান, আর এ সাব্বির, মো. শিপন প্রমুখ।