মো. মহসিন রেজা, শরীয়তপুর।।
ট্রলারযোগে লিবিয়া থেকে ইতালিতে যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবিতে শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের বেড়া চিকন্দী গ্রামের মনির হোসেন নামের একজন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নিখোঁজ মনির হোসেনের বাড়িতে চলছে ছেলে হারানোর শোকের মাতম। মা-বাবা বাবা-ভাই-বোন আত্বীয়-স্বজন প্রতিবেশী সকলেরই প্রিয় মনিরের নিখোঁজে সবাই ব্যাথিত, বাড়িতে এসে ভীড় জমিয়েছেন স্থানীয়রা। শান্তনা দিচ্ছেন, নিখোঁজ মনির হোসেনের পরিবারকে।
নিখোঁজ মনিরের মা-বোন, ছেলে হারানোর ভাই হারানোর শোকে বারবারই জ্ঞান হারাচ্ছেন।
দরিদ্র পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে বেড়া চিকন্দী গ্রামের সিরাজ চোকদারের তিন ছেলে মেয়ের মধ্যে ছোট ছেলে মনির হোসেন ২০১২ সালে বিভিন্ন মাধ্যেমে লিবিয়া গিয়ে পৌঁছান সেখানে দশ বছর ধরে কাজ করছিলেন।
মনির হোসেনের সবসময়ই স্বপ্ন ছিলো ইউরোপের দেশ ইতালি যাওয়ার, সেই স্বপ্নের দেশে যাওয়ার উদ্দেশ্য ২০২২ সালের ২৯ মার্চ মঙ্গলবার সাগর পথে একটি ট্রলারযোগে মনির হোসেনসহ বাংলাদেশ ও অন্যন্যে দেশের ৩২ জন একসাথে ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ট্রলারটি ভূমধ্যসাগরে পৌছালে শক্তি শালী স্রোতের মুখে পড়ে ডুবে যায় ট্রলারটি। মানুষের হাবুডুবু দেখে সেখান দিয়ে যাওয়া একটি জাহাজ ১৫ জনকে উদ্ধার করেন। বাকি ১৭ জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ট্রলার ডুবিতে মনির হোসেনের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি পরিবারকে জানান একই ইউনিয়নের ভূমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবিতে বেঁচে ফেরা ওয়াসিম মিয়া।
নিখোঁজ মনির হোসেনের বাবা সিরাজ চোকদার বলেন, আমার পরিবারের একমাত্র ভরসা ছিলো আমার ছেলে মনির হোসেন ইতালি যাওয়ার পথে ওদের ট্রলার ডুবে গেছে আমার ছেলে বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে আমরা কিছুই জানিনা। জেলা প্রশাসন ও সরকারের কাছে আমার দাবি আমার ছেলেকে জীবিত হোক আর মৃত হোক উদ্ধার করে আমার পরিবারের কাছে যাতে ফেরৎ দেন।
সকল আত্মীয় স্বজন এলাকাবাসী সকলেরই একই দাবি নিখোঁজ মনিরকে পরিবারের কাছে ফেরৎ দেওয়ার।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহবুব খান জানান নিখোঁজ মনির হোসেন একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা ছিলো, সে তার পরিবারের স্বচ্ছলতা নিয়ে অনেক ভাবতো, তাই ১২ বছর আগে বিদেশে যায়, কিন্তু ২৯ মার্চ ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্য ট্রলারে করে পাড়ি দেওয়ার পথে দূর্ঘটনাটি ঘটে। আমার দাবি সরকার খোঁজ খবর নিয়ে মনিরকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করুন।
ভূমধ্যসাগরের ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ মনির হোসেনকে ফিরে পেতে যেকোনো সহযোগিতার আশ্বাস দেন, শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাই।