তিনি বলেন, ‘মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বাণী প্রদান না করা অত্যন্ত দু:খজনক। জাতির এমন এক ক্রান্তিলগ্নে প্রধান উপদেষ্টার সহযোগি উপদেষ্টারাও তাদের দায়িত্ব পালন করেন নাই। প্রধানউপদেষ্টাকেও এই বিষয়ে অবগত ও অনুপ্রেরনা যোগাননি তারা, যা অত্যান্ত লজ্জাজনক। ভাসানীকে যদি আমরা সম্মান না দিতে পারি, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই আগষ্টের গণঅভ্যুত্থানের বিপ্লবীদের যথাযথ সম্মান দেয়া হবে না। মনে রাখতে হবে, ইতিহাস ভুলে যাওয়া এবং ইতিহাস মুছে ফেলার কোনটারই জাতির জন্য কল্যাণকর নয়। ’
গোলাম মোস্তফা ভুইয়া আরো বলেন, ‘মওলানা ভাসানীর মতো আর মানুষ এই অঞ্চলে আর জন্মাবে কিনা জানিনা। সারা জীবন তিনি মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ভাসানীসহ যারাই দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছে, তাদের কারোরোই যথাযথ মর্যাদা হয়নি। শুধু কথা ও যা কিছু তা বলতে পারলেই স্বাধীনতা নয়। মানুষের স্বাধীনতা হচ্ছে মানুষের মর্যাদাবোধ, মানবিকবোধ ভালবাসা। মানুষের অন্তরে যদি শ্রদ্ধা ভালবাসা থাকতো তাহলে ভাসানীর এখানে দেহ ত্যাগ করা স্বার্থক হতো।’
তিনি বলেন, ‘উপমহাদেশের কিংবদন্তি রাজনৈতিক নেতা ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর স্বপ্ন, কাজ ও স্মৃতিচিহ্ন বিগত সরকারগুলোর ‘হীনমন্যতার’ কারণে অবহেলার স্বীকার হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বর্তমান অর্ন্তবর্তিকালীন সরকারও সেই একই পথ অনুস্মরণ করছে। বর্তমান সরকারও যদি অতিতের ধারাবাহিকতায় মওলানা ভাসানীর প্রতি অবহেলাই করে থাকেন তাহলে পরিবর্তনটা কোথায় হবে ? সংস্কার কি ভাবে হবে ?’
তিনি বলেন, ‘মওলানা ভাসানীর প্রতি যথাযথ সম্মান যানাতে না পারার এই যে আমাদের দৈন্যতা, এখান থেকে আমরা যদি বের হয়ে আসতে পারি, যথাযথ সম্মান করতে পারি, মানুষের অভাবকে আমরা বুঝতে পারি, মানুষের কষ্টকে হৃদয় দিয়ে লালন করতে পারি, তাহলেই হবে মাওলানা ভাসানীর সার্থকতা। হুজুর মাওলানা ভাসানীর প্রতি সম্মান যানানোর যে দৈন্যতা শাসকগোষ্টির, এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ তিনিই বহুদলীয় রাজনীতির এবং গণমানুষের অধিকার কায়েমের রাজনৈতিক দরোজার নির্মাতা।’