বিক্ষোভ মিছিল শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব ড. আবু ইউসুফ সেলিম।
সভাপতির বক্তব্যে শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু সীমান্তে হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। ভারতের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব হবে সমতার ভিত্তিতে। কিন্তু ভারত যা করছে তা বন্ধুসুলভ নয় বরং প্রভুসুলভ। ভারত অন্যায়ভাবে বাংলাদেশের সীমান্তে নিরাপরাধ ও নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করবে তা এদেশের জনগণ মেনে নিবে না।’ ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ শান্তি প্রিয়, আপনার উদ্বেগের কারণ নেই। আপনি অবিলম্বে আপনার সীমান্তরক্ষীদের নির্দেশ দিন তারা যেন নিরীহ বাংলাদেশীদের উপর গুলি না করে সীমান্তে নিজ দেশের অপরাধীদের দমন করে। আমরা আশা করবো দু দেশের বন্ধুত্ব ও সম্পর্কের বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে ভারত অনতিবিলম্বে সীমান্তে হত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুজ্জামান হীরা, হাবিবুর রহমান হাবিব, মওলানা ভাসানীর একান্ত অনুসারী বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট আব্দুল হাকিম, কাজী মোঃ নজরুল, সরফরাজ হোসেন, শাহাদাত হোসেন ও নারী নেত্রী সনিয়া আক্তার প্রমুখ।