নিজস্ব প্রতিবেদক♦♦
ভারতের পানি আগ্রাসন সহ সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় । জন জোট কতৃক আয়োজিত উক্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করনে ” জন জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহবুব শামিম ( মার্চেন্ডাইজার ।
প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য প্রদান করেন জন জোটের প্রধান সমন্বয়ক ” ফার্মাসিস্ট মুজাম্মেল মিয়াজী –
তিনি বলেন – বাংলাদেশ ছাত্র জনতা এক হয়ে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বিদায় ঘন্টা বাজিয়েছে । তাই ভারতের বিদায় ঘন্টা বাজানো এটা কোন ব্যাপার নয় । শেখ হাসিনা যেইভাবে পালিয়েছে ঠিক সেইভাবে ভারতের সকল দালাল ও র কে এই দেশকে পালাতে হবে ।
ভারত বরাবরই বাংলাদেশের উপর অতিমাত্রায় আগ্রাসন চালিয়ে আসছে । সীমান্তে অসংখ্য বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা করেছে । স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে বৈধতা দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার শেষ করে দিয়েছিল । র কে দিয়ে গুম খুনের একটি আন্ডারগ্রাউন্ড তৈরি করেছে বাংলাদেশে । জোর পূর্বক অসম চুক্তি করে নিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার দ্ধারা ।
ঠিক সেই ধারাবাহিকতায় আজ ফেনী সীমান্তে বাঁধ খুলে দিয়ে প্রায় অর্ধ কোটি মানুষকে ভাসিয়ে দিয়েছে ভারত । আন্তর্জাতিক পানি বন্টনকে লঙ্ঘন করেছে তারা । তাদের এই ধরনের আগ্রাসন বাংলাদেশের মানুষ আর মেনে নিবেনা ।
তারা যদি আগ্রাসন চালিয়ে যায় তবে আমরা সেভেন সিস্টার্সের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলতে বাধ্য হব । যদি সেভে সিস্টার্স স্বাধীনতা চায় । এটা ভারতের জন্য একটি সতর্ক বানী ।
ভারত যদি প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসাবে বন্দ্ধুত্ব চায় তবে পানি আগ্রাসন সহ সকল আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে এবং বাংলাদেশের জনগণকে বিগত দিনের ভুলের হিসাব বুঝে দিতে হবে ।
আরো বক্তব্য রাখেন- জন জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বিষয়ক সমম্বয়ক সুরাইয়া ইয়াসমিন- তিনি বলেন
ভারতের পানি আগ্রাসন হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের সাথে শত্রুতাপূর্ণ মনভাব । এটা ভারতের জন্যই ক্ষতিকর হবে বলে আমি মনে করি ।
বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নারী সমন্বয়ক রেশমা আক্তার – তিনি বলেন
শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত ভুল করেছে । আরো ভুল করছে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনাকে ভারতে বসে গুটি বাজি করার সুযোগ দেওয়া ।
পানি আগ্রাসন তার উদাহরণ । এটা ভারতের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে বলে আমি মনে করি ।
বক্তব্য রাখেন – ছাত্র জন জোটের সমন্বয়ক মোশাররফ হোসেন – তিনি বলেন
ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা জনতা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ । ভারত হুসিয়ার করে বলে দিতে চাই – সাবধান হয়ে যান আর নতুবা বাংলাদেশের জনগণ এর জবাব দিবে ইনশাআল্লাহ্
বক্তব্য রাখেন – জন জোটের কেন্দ্রীয় সহ সমন্বয়ক আবদুল হাই ও জন জোটের কেন্দ্রীয় শ্রমিক সহ সমন্বয়ক দুলাল মিয়া ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি শামীম মাহবুব ( মার্চেন্ডাইজার ) তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন- আমরা কোন দেশরই আগ্রাসন ও আধিপত্য মানবনা । ভারতের পানি আগ্রাসন, সীমান্ত হত্যা আগ্রাসন এবং অসম চুক্তি আগ্রাসন সহ বিভিন্ন ধরনের আগ্রাসনের জন্য বাংলাদেশের জনগণ ভারতকে ঘৃণা করে । ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র হওয়া আমাদের জন্য লজ্জা । আমরা জন জোট-পিপলস্ এলায়েন্স ভারতের সকল প্রকার আগ্রাসন ও আধিপত্য বিরুদ্ধে অঙ্গীকারবদ্ধ ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জন জোটের সহ সমন্বয়ক মেজবাহ সরোয়ার সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ববৃন্দ৷।
Tags: ভারতের