স্টাফ রিপোর্টার:
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার আরিফবিল্লাহ ডালিম জাতীয় “দৈনিক বঙ্গজননী” পত্রিকার সাংবাদিককে(ওসি) মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর দায়ে, বরিশাল বিভাগের ডিআইজি মো: শফিকুল ইসলাম(বিপিএম) তলব করেন থানার ওসি ও এসআইকে। গত (২৬ জুলাই) সকাল ১০ ঘটিকার সময় বরিশাল বিভাগের ডিআইজির তলব সূত্রমতে, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার- সদর দপ্তরকে সুষ্ঠ আইনী ব্যবস্থার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এসময় অভিযোগদাতা সাংবাদিক আরিফবিল্লাহ ডালিম ও বিবাদী স্কুল জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা সুভাষ চন্দ্রসহ সকলে পুলিশ সুপারের কার্যলয়ে উপস্থিত ছিলেন।
জানাগেছে, স্কুল জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা সুভাষ চন্দ্র(৬০) স্ত্রী- সীমা রানী গোলদার ভান্ডারিয়া থানার (ওসি) এস.এম মাকসুদুর রহমান ও এসআই ফারুক হোসেনকে মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে সীমা রানি গোলদার বাদী হয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন সাংবাদিক পিতা-পুত্রকে। এধরনের মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে, সাংবাদিক আরিফবিল্লাহ ডালিম জালিয়াতি চক্রসহ ওসি ও এসআইর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে থাকেন। সরেজমিন স্কুল মাঠ সংবাদ সম্মেলনে শতাধিক সচেতন মহল উপস্থিত ছিলেন। এবং এধরনের সংবাদ সম্মেলনের ৫/৬টি বেসরকারি টেলিভিশনসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশ হয়। এ সময় উপন্থিত ছিলেন এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ হাবিবুর রহমান মুন্সি, ইউসুফ মিয়া, রাজু মিয়া, মাসুম মাতুকবর, হাফিজ মাতুকবর, শাহিন আহমেদসহ এলাকার শতাধিক জনগণ।
স্থানীয়দের মতে জানাগেছে, ১৬৫নং দক্ষিণ পূর্ব পশারিবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘ পরিশ্রম করে প্রতিষ্ঠা করে যাচ্ছিলেন সাংবাদিক পিতা আব্দুস সালাম মিয়া। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের স্বামী প্রতারক সুভাষ চন্দ্র এরিমধ্য ঢুকে স্কুলটি ধ্বংস করে দিয়েছেন। যার কারণে প্রতিষ্ঠতা সভাপতির মন-মানষিকতা ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে। তিনি স্কুলটি রাখবেননা বলে জানান তারা।
বাদী সাংবাদিক আরিফবিল্লাহ ডালিম জানান, আমার বাবার স্বপ্ন ছিলো “১৬৫নং দক্ষিণ পূর্ব পশারিবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি” করে এলাকায় সুনাম অর্জন করবেন। কিন্তু জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা সুভাষ চন্দ্রের জন্য পারা হলো না। তিনি আমাদের অগচরে আমার বাবার “সিল ও সিগনেচার” জালিয়াতি করে স্কুলের সরকারী তহবীলের অর্থ লুটপাট করেছেন। এবং তিনি উল্টো থানার (ওসি) এস.এম মাকসুদুর রহমান ও ফারুক হোসেনকে ঘুষ বাণিজ্য দিয়ে আমার বাবা ও আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। এধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য আমি স্কুল সংলগ্নে সংবাদ সম্মেলন করে থাকি দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে। এবং এবিষয়ে বরিশাল বিভাগের ডিআইজি মহোদয়কে অভিযোগ প্রদান করলে, তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে জেলার পুলিশ সুপারকে সুষ্ঠ আইনী ব্যবস্থার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এবং এসপির অসুস্থার কারণে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর দপ্তর ওসি ও এসআই এবং মামলার বাদীকে পুলিশ সুপার কার্যলয় ডেকে সম্পূর্ণ ঘটনাটি আমলে নেন তিনি। তিনি বলেন, এধরনের ঘটনার সূত্র পেঁয়ে ওসি ও এসআই এখন বার বার আমাকে থেমে যেঁতে বলেন। তারা ভুল স্বীকার বলেছেন যে, ভাই যা করিছি সম্পূর্ণ অপরাধ করেছি। আপনি আমার থানায় কিংবা আমার বাসায় বেড়াতে আসেন। আপনার পক্ষে মিথ্যা মামলার চার্জশিট প্রদান করা হবে। কিন্তু আমাকে ক্ষতি কইরেন না ভাই। এধরনের ফোন দিয়ে তিনি বার বার বিনয়ের সাথে আকুতি-মিনতি প্রদান করেন।
স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুস্ ছালাম মিয়া জানান, আমার নিজের ক্রয় করা সম্পত্তিতে, আমি স্কুল প্রতিষ্ঠা করি। তাই আমি শাররিক ভাবে ভালো না থাকার কারণে। আমার বিশ্বাস সূত্রে অসম্পূর্ণ কাজ-সম্পূর্ণ করার লক্ষে সুভাষকে কাগজ বুঝিয়ে দেই। তিনি স্কুল জাতীয়করন হতে না হতেই, আমাকে কোন কাজে রাখেন না। এবং আমার কাগজ পত্রাদি বুঝিয়ে দিতে বললেও, তিনি নানা ভাবে তালবাহানা করেন। সুতরাং অবশেষে আমরা জানতে পারলাম স্কুলের সকল প্রকার সরকারী বরাদ্ধকৃত তহবীল সর্বপ্রকার লুটপাট করেন। আমার অগচরে আমার নিজ স্বাক্ষর জালিয়াতি করেন তিনি। অভিযুক্ত জালিয়াতি চক্র সুভাষকে আইনের আওতায় এনে শাস্তিযোগ্য প্রদান করতে হবে। কারণ তিনি আমার স্ব-চোঁখে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। আমি যে প্রতিষ্ঠান ১৬৫নং করেছি সেই প্রতিষ্ঠান তিনি কখনও ১৬৪ কখনও ১৬৫ ব্যানারে প্রদান করেন। এবিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আইনের কাছে সোপর্দ করেছি। কারণ এতো ঘটনার পরে আমার স্কুলের প্রতি মন-মানষিকতা নেই। এখন আমার স্কুলই দরকার নেই। এখন দরকার অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা বলে জানান তিনি।
থানার টিও বলেন, আমি ১৬৫নং দক্ষিণ পূর্ব পশারীবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। যার সম্পূর্ণ সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কথা বলে। সাতজন বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে। সুষ্ঠভাবে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো বলে জানান। তিনি আরও বলেন, আমি ঘুষ বাণিজ্য পছন্দ করি না। এবং যে ঘুষের কথা বলে তাকে আমি নিন্দা চোঁখে দেখি। তবে কোন প্রকার দল-মতের চাপ সৃষ্টি না থাকলে । বিষয়টি সু²ভাবে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো জানান তিনি।
এবিষয়ে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মো: শফিকুল ইসলাম(বিপিএম) সাংবাদিকদের বলেন, কোন প্রকার সমস্যা নেই, সম্পূর্ণ ঘটনার তদান্ত করে মিথ্যাবাজদের বিরুদ্ধে কঠিন ভাবে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো বলে জানান তিনি।