গবেষকরা বলছেন বছরে প্রতি ১০ লাখে দুই থেকে ষোলজনের রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ঘটে। আর যে সাতজন মারা গেছেন তাদের রক্ত জমাট বাঁধার সঙ্গে টিকার কোনো সম্পর্ক আদৌ আছে কি না এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ইস্ট এ্যাঙ্গলিয়া ইউনিভার্সিটির মেডিসিনের অধ্যাপক পল হান্টার বলেন টিকার সঙ্গে মৃত্যুর ঘটনা খুবই বিরল। গার্ডিয়ানকে এই অধ্যাপক বলেন বরং যারা টিকা নেননি তাদের টিকা গ্রহণ করেছেন যারা তাদের চেয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি। রক্ত জমাট বেঁধে মৃত্যুর পরও আমি অবশ্যই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজটি নেবো। জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস ও কানাডা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা শুধু মাত্র বয়স্কদের জন্যে নির্ধারিত করে দিয়েছে।
ইউরোপের মেডিসিন এজেন্সির প্রধান নির্বাহী ড. জুন রাইন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা অব্যাহত থাকবে বলে জানান রক্তে জমাট বাঁধার ঘটনার দিকে নজরদারি রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন রক্তে জমাট বাঁধার বিষয়টি বিরল এ্যান্টিবডি ও প্লেটলেটের কম স্তরের জন্যে হতে পারে। যা রক্ত জমাট বাঁধার অন্যান্য ধরনের সঙ্গে যুক্ত। ইউসিএল ইনস্টিটিউট অব নিউরোলোজির অধ্যাপক ডেভিড ওয়েররিং বিবিসি’কে বলেন রক্ত জমাট বাঁধার বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে গবেষণার প্রয়োজন। এর সঙ্গে টিকার আদৌ কোনো সম্পর্ক আছে কি না তার অনুসন্ধান জরুরি।