নিজস্ব প্রতিবেদক◊◊
শিক্ষার বৈষম্য নিরসনে শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদান, সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া,শতভাগ উৎসব ভাত, মেডিকেল ভাতা, সর্বজনীন বদলি বাধ্যতামূলক করার দাবি অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ ফোরাম বাংলাদেশের।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় পুরানা পল্টন আজাদ সেন্টারে অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ মাইনুদ্দিনের সভাপতিত্বে মহাসচিব উপাধ্যক্ষ মোঃ আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, অধ্যক্ষ মোঃ আনিসুল হক,অধ্যক্ষ, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল্লাহ, অধ্যক্ষ মোঃ আবদুল মতিন,অধ্যক্ষ ,অধ্যক্ষ ড, মোঃ আবুল কালাম আজাদ, অধ্যক্ষ ড. আবদুল আউয়াল মোল্লা,অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল ওয়াহাব, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাকির হোসেন,সহকারি অধ্যাপক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ?? প্রধান শিক্ষক আবদুর রহীম সরকার, প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান মন্নাফি,প্রমুখ । সভায় অন্তর্বতী কালীন সরকারের নিকট নিম্ন লিখিত দাবি জানান হয়।
দাবিগুলো হলো:
০১/অবিলম্বে বোর্ড সমুহে চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সহ শূন্য পদ পূরণ করে বোর্ড সমুহে, বিদ্যালয় ও কলেজ পরিদর্শক সমুহ সচল করে কলেজে ও মাদরাসার কার্যক্রম পরিচালনায় সহযোগিতা করার দাবি জানানো হয়।
০২/নিরীক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও মাদরাসায় পরিদর্শনের নামে তিন এমপিও দুই এমপিওর টাকা পরিদর্শকরা দাবি করে কঠিন চাপ সৃষ্টি করেন, ডাকাতির ন্যায় ঘুষ দাবি বন্ধ করার দাবি জানানহয় অন্যথায় শিক্ষক কর্মচারি সমাজ ঘুস বন্ধের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করতে বাধ্য হবে, তাই নীরিক্ষা অধিদপ্তরের ঘুস বন্ধের দাবি জানানো হয়। ০৩/এমপিও ভুক্তির জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করেন কর্মকর্তারা, পরিচালক ও ডিডি কে অর্থ না দিলে এমপিও ভুক্ত না করে শিক্ষক কর্মচারিদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা জোর পূর্বক আদায় করেন এমপিওভুক্ত করার কর্মকর্তারা, ডিডি অফিসের ঘুস বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান হয়। ০৪/অবিল্বে কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর বোর্ডের সদস্যদের পদায়ন করে অবসর কল্যাণে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করে অবসর প্রাপ্ত শিক্ষকদের সমস্যার সমাধানের জোর দাবি জানান হয়। ০৫/ যে সমস্ত কলেজে অধ্যক্ষ নেই বেআইনি ভাবে ভয় দেখিয়ে বিতাড়িত করা হয়েছে,স্বৈরাচার শাসনের অনেক জুনিয়র দলীয় ক্যাডারকে অধ্যক্ষ পদে বসিয়ে লুটপাট করেছেন ঐ সমস্ত কলেজে অবিলম্বে অধ্যক্ষ নিয়োগ এবং স্বৈরাচারীদের দোসরদের অপসারণের দাবি জানান হয়। ০৬/ শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের শিক্ষক কর্মচারিদের এমপিওভুক্ত করার দাবি জানান হয়। ০৭/ অনার্স পাঠদান কারি শিক্ষক কর্মচারিদের এমপিওভুক্ত করার দাবি জানান হয় অনার্স মাস্টার্স পাঠদান কারি শিক্ষক সমাজ চরম বৈষম্যের কারণে তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে , তাই অবিলম্বে তাদেরকে এমপিওভুক্ত করার দাবি জানান হয়। ০৮/স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর কতিপয় অধ্যক্ষ কর্তৃক শিক্ষক কর্মচারিদের হয়রানির তীব্র নিন্দা এবং হয়রানি বন্ধের দাবি জানান হয় এবং অভিযুক্ত স্বৈরাচারদের দোসর অধ্যক্ষদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানানো হয়। ০৯/ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবিলম্বে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানানো হয়, কেননা প্রাথমিক বিদ্যালয় হিন্দু শিক্ষক ইসলাম ধর্ম শিক্ষা পড়ায় , যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রাথমিক বিদ্যালয় ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়। ১০/ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হেড মাওলানা ও সহকারি মৌলভী পূর্বে ছিল,পূর্বের ন্যায় হাই স্কুলে হেড মাওলানা ও সহকারী মৌলুভী নিয়োগ দানের দাবি জানানো হয়। ১১/ অবিলম্বে সকল উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলাম শিক্ষা বিষয় খোলার অনুমোদন ও ইসলাম ধর্ম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানানো হয়। ১২/ গত ৫১ বছরে একটি ইবতেদায়ি মাদরাসা ও এমপিওভুক্ত করা হয়নি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী