শ্রম ও কর্মসংস্হান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা সচিবালয়ে না থাকায় প্রতিনিধি দল শ্রম সচিবের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন টিইউসি’র সহ সভাপতি মাহাবুব আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, দপ্তর সম্পাদক সাহিদা পারভীন শিখা ও অর্থ সম্পাদক কাজী রুহুল আমিন। আলোচনায় নেতৃবৃন্দ শ্রমিকদের বিরাজমান সংকট, ন্যায্য মজুরি, রেশনিং ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা, শ্রমআইন ও অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব গুরুত্বের সহিত শ্রমিক নেতৃবৃন্দের কথা শুনেন এবং পেশকৃত ১০ দফা দাবীর বিষয়ে উর্ধতন র্কৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে আশ্বাস প্রদান করেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টার নিকট পেশকৃত ১০ দফা দাবী নিম্নরুপঃ
১. অবিলম্বে জাতীয় ন্যুনতম মজুরি কমিশন গঠন করে জীবন-ধারন উপযোগী “জাতীয় ন্যুনতম মজুরি” ঘোষনা করতে হবে।
২. আইএলও কনভেনশন ও আন্তর্জাতিক শ্রমমান অনুসারে শ্রমআইন সংশোধন ও কার্যকর করতে হবে।
৩. রেশন প্রথা চালু করে চাল, ডাল, আটা, তেল ও শিশু খাদ্য দিতে হবে।
৪. নিহত, আহত ও স্থায়ী অক্ষম শ্রমিকদের নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
৫. প্রকৃত হত্যা ও হামলাকারীদের চিহিৃত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
৬. নিহত, আহত, ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থায়ী অক্ষমদের যথাযথ ক্ষতিপুরণ, সুচিকিৎসা, সহায়তা ও পূনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।
৭. কোনো মালিক যাতে আন্দোলনের কারনে বন্ধকালীন সময়ের মজুরি কর্তন না করেন সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা করে সকল শ্রমিক-কর্মচারীদের পূর্ণ মজুরি প্রদান করতে হবে।
৮.প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক নির্বিশেষে সকল শ্রমিক কর্মচারীদের চাকুরী ও কাজের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে হবে। আউট সোসিং প্রথা বাতিল করতে হবে।
৯. শ্রম অধিদপ্তর এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে জবাবদিহিতার আওতায় এনে অনিয়ম, ঘুষ, দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
১০. নারী পুরুষ নির্বিশেষে সমকাজে সমমজুরি নিশ্চিত করতে হবে।