বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম বেগবান করতে ‘সুপার স্পেশালাইজড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার ফর দি জুলাই ২৪ ওয়ারিয়র’ গঠনের প্রস্তাব অধ্যাপক ডা. এম এ শাকুরের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে আহত ইয়াসিন আরাফাত শোনালেন
ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসা সেবায় পঙ্গুত্বের দুয়ার থেকে সুস্থ হয়ে উঠার গল্প।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে আহত ইয়াসিন আরাফাত শোনালেন
ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসা সেবায় পঙ্গুত্বের দুয়ার থেকে সুস্থ হয়ে উঠার গল্প।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ২৯৬ রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান
ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ পার্সন উয়িথ ডিজঅ্যাবিলিটিস বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ পার্সন উয়িথ ডিজঅ্যাবিলিটিস বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে দিবসটি উদযাপিত হয়।
বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এই বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নেতৃত্ব বৃদ্ধি করা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে আহত রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা সেলের সভাপতি প্রফেসর ডা. এম এ শাকুর এর নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ৮টায় র্যালির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের প্রাক্তন প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ মাইনুজ্জামান। পরে অনুষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে আহত রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা সেলের সভাপতি প্রফেসর ডা. এম এ শাকুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম বেগবান করতে সুপার স্পেশালাইজড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার ফর দি জুলাই ২৪ ওয়ারিয়র (Super Specialized Rehabilitation Center For The July 24 Warrior ) গঠনের প্রস্তাব করেন।
সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর কামরুল ইসলাম সেমিনার হলে বৈজ্ঞানিক সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর কামরুল ইসলাম সেমিনার হলে বৈজ্ঞানিক সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
যেখানে শারীরিক পুনর্বাসন বিভিন্ন বিষয় এবং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করেন। বৈজ্ঞানিক সেশনের সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত রোগীদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা সেলের সভাপতি প্রফেসর ডা. এম এ শাকুর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন এর সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। সেমিনারে অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান, অধ্যাপক ড. তসলিম উদ্দিন, ডা. জিয়াউর রহমান চৌধুরী, ডা. বদরুন্নেসা আহমেদ, ডা. মোঃ গোলাম নবী, ডা. সাব্বির জামান রকি, ডা. ফারজানা খান সোমা প্রমুখসহ উক্ত বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট ছাত্রছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে আহত ইয়াসিন আরাফাত শোনালেন ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসাসেবায় পঙ্গুত্বের দুয়ার থেকে সুস্থ হয়ে উঠার গল্প। তিনি আগস্টে ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে কোমড়ে মারাত্মকভাবে আঘাত প্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন হুইল চেয়ারে করে। হাঁটার কথা তো দূরের কথা কোনোদিন সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবেন সেটাও কল্পনা করতে পারেননি। তবে বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত রোগীদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা সেলের সভাপতি প্রফেসর ডা. এম এ শাকুর এর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাসেবা নিয়ে এখন হাঁটতে পারছেন তিনি শোনালেন সেই বিজয়ের কথা।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বিএসএমএমইউ এর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এম এ শাকুরসহ সংশ্লিষ্ট সকল চিকিৎসক, ফিজিওথেরাপিস্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় চেয়ারম্যান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা ও পুনবার্সন বিষয়ক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ শাকুর জানান, বিএসএমএমইউ-এর বিভিন্ন বিভাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ২৯৬ জন রোগীূর চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেÑজরুরি বিভাগে ৫৮ জন রোগী, কেবিনে ৫৩ জন রোগী, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের বহির্বিভাগে ১শত ৫২ জন রোগী ও অভ্যন্তরীণ বিভাগে ২৪ জন রোগী এবং আইসিউতে ১০ জন রোগী। অধ্যাপক ডা. এম এ শাকুর বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা ও পুনবার্সন করা আমাদের পেশাগতসহ সামাজিক, মানবিক, নৈতিক ও পবিত্র দায়িত্ব। তারা আন্দোলনের মাধ্যমে একটি নতুন যুগের, একটি নতুন বাংলাদেশের শুভ সূচনা করেছেন, তাদেরকে চিকিৎসাসেবা দিতে পেরে একজন চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে গৌরাবান্বিত মনে করছি।
তিনি আরো জানান, এই দিবসের মাধ্যমে শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরা এবং এর আরও উন্নতির জন্য বিভিন্ন গবেষণা ও ক্লিনিকাল অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করা হয়, যা রোগীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি যোগ করেছে।