সোমবার (২৯ মে) সকালে ৭৮/এ, পুরানা পল্টন লেন (নিচতলা), বিজয়নগর, ঢাকাস্থ মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে সিএলএনবি’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হারুনূর রশিদ বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সামরিক ও পুলিশ সদস্য পাঠানো দেশ বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে সাত হাজার শান্তিরক্ষী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করছেন। বিশ্বের ৫৪টি মিশনে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৫৮ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করছেন।
সিএলএনবি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের গৌরব বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তারা কাজ করছেন। সংঘাতময় দেশে শান্তি স্থাপন করতে গিয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশের ১৬৭ জনকে প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে। তাদের নিষ্ঠা ও আত্মত্যাগ দেশের জন্য গৌরব বয়ে এনেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান খাত। এ অবদানের কারণে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিচ্ছে।
আলোচনা শেষে শান্তিরক্ষা মিশনে মৃত্যুবরণকারী দেশের সব শান্তিসেনা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রুহের মাগফেরাত—শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
আলোচনা সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের গেরিলা কমান্ডার তাফাকুননবী জৌলুস। আরও বক্তব্য রাখেন, আফ্রিকার সিয়েরা লিওন শান্তিরক্ষা মিশনের সাবেক চীফ কর্ণেল (অবঃ) আশরাফ আল দ্বীন, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ হোসেন, সংযুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান বাবলু, শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও ভোলা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বইয়ের লেখক কালাম ফয়েজী, যুবশক্তির প্রধান উপদেষ্টা হানিফ বাংলাদেশী, সাবেক ছাত্রনেতা রুহুল আমিন রনি ও হাসান মঞ্জুর প্রমুখ।