কেরানীগঞ্জ( ঢাকা) প্রতিনিধিঃ
ঢাকার কেরানীগঞ্জ জিনজিরায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে ৩০ জন আহত ও বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাংচুর করা হয়।
এসময় ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী সহ প্রায় ২০ জন নেতা কর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে।
দেখা গেছে, সকাল থেকে বিএনপির নেত্রী নিপুণা রায় চৌধুরী নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে পার্টি অফিসে আসার পথে আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে এ মিছিলে হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছে দলটির নেতারা। আওয়ামী লীগের পাল্টা অভিযোগ নিপুণ রায় পরিকল্পিত ভাবে হামলার উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগের দলীয় পার্টি অফিসে হামলা চালিয়েছে। অফিস রক্ষা করতে অফিসে থাকা আওয়ামী লীগ ছাত্র লীগের নেতারা প্রতিহত করে।
এসময় জিনজিরার প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আজহার বাঙ্গালী, কোন্ডা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আল আমিন মাহমুদ সহ ১০/১৫ আহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দলটির নেতারা।
বিএনপির চলমান কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর
সরকারবিরোধী আন্দোলন হিসেবে আজ (২৬ মে) শুক্রবার সকাল ১০টায় ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে জিনজিরা দলটির কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক এতে সভাপতিত্ব করেন।
এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই সরকারের অধিনে নিবার্চন সম্ভব নয়। শিয়ালের কাছে মুরগী বরগা দেয়া যে রকম, তেমনি আওয়ামী লীগের অধিনে নিবার্চন যাওয়া শিয়ালের কাছে মুরগী বরগা দেয়া। তিনি তার বক্তব্যে অভিযোগ করেন, বিএনপির সমাবেশে জনসমুদ্র দেখে আওয়ামী লীগ নেতার পাগল হয়ে গেছে। তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা আজও মিছিল হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের হামলায় ইটের আঘাতে নিপুণ রায় চৌধুরীসহ বিএনপির ২০ নেতাকর্মী আহত করেছে। আমাদের একটাই দাবী এই সরকারকে বিদায় এর ঘন্টা বাজিয়ে ঘরে ফিরে যাব। আপনাদের আরো শক্তি সঞ্চর করতে হবে। মারখাব এর দাত ভাঙা জবাব দিতে হবে। তিনি আরো বলেন এই নির্বাচন নির্বাচন নয়, এটা তামাশার নির্বাচন। জনগন আর আপনাদের কথায় বিশ্বাসী নয়। আমরা জনগনের কাছে বিচার দিলাম, তারা ভালো মন্দ নির্নয় করবে।
এদিকে হামলার ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল আওয়ামী লীগের সদস্য সাকুর হোসেন সাকু অভিযোগ করেন বিএনপির নেত্রী নিপুন রায় এর নেতৃত্ব নেতা কর্মীরা আওয়ামী লীগের কার্যালয় হামলার উদ্দেশ্য ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে আমাদের কয়েক জন নেতা কর্মী ছিল তারা প্রতিহত করলে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা আহত হয়। পরে পুলিশ এসে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আমাদের বেশ কয়েক নেতা আহত হয়েছেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন এ হামলা নিপুন রায় এর পরিকল্পিত হামলা। আমরা এর জবাব রাজপথে দিব।
পুলিশের সামনে ভাংচুর এর বিষয় জানতে চাইলে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( ক্রাইম এন্ড অফস) আমিনুল ইসলাম জানান, বিএনপির মধ্যে অতিউৎসাহী চ্যাংরা পোলা পান এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা সাথে তাদের ছত্রভঙ্গ করেছি। পরে পরিবেশ শান্ত হয়।
তবে সমাবেশকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এলাকাজুড়ে সতর্ক অবস্থানে ছিল।