আজ মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার।
বাপ্পি সরদার বলেন, “গতকাল ঢাকার বায়ুর মান ছিল সবচেয়ে খারাপ। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে আমরা দেখতে পারছি কিছুদিন পরপরই ঢাকা শহর পৃথিবীর বসবাস অযোগ্য শহরগুলোর তালিকার শীর্ষে অবস্থান করে। দক্ষিণ এশিয়ার দিল্লী ও লাহোর শহরে বায়ুর মান দূষণের পাশাপাশি অনেকাংশে কৃষকদের ক্ষেতে জালিয়ে দেয়া আগুনের উপর নির্ভর করলেও আমাদের দেশে ঢাকাসহ বড় বড় শহরগুলোর বায়ুর মান পুরোপুরি দূষণের কারণে আমরা শীর্ষে অবস্থান করি। বায়ু দূষণের ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েই চলছে। শুধুমাত্র বায়ু দূষণজনিত রোগের ফলে প্রতি পরিবারকে বাৎসরিক প্রায় ১০ হাজার টাকা বাড়তি খরচ করতে হয়। ঢাকা সিটিতে বসবাসরত প্রায় ৮০ লাখ পরিবারকে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে।”
তিনি বলেন, বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বায়ু দূষণের বিষয়টির গভীরতা অনুধাবন করে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হওয়ায় আমরা অবিলম্বে একটি “স্বতন্ত্র কমিশন” গঠনের দাবি জানাচ্ছি।
বায়ু দূষণরোধে সবুজ আন্দোলনের প্রস্তাবনাগুলো হলো:
১. বায়ু দূষণ রোধে স্বতন্ত্র কমিশন গঠন।
২. রাস্তা দিনে দুবার ঝাড়ু এবং সপ্তাহে একদিন পানি দিয়ে ধৌত করা।
৩. পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জীবনমান উন্নয়নে বেতন বৃদ্ধি ও লোকবল নিয়োগ করতে হবে।
৪. সারাদেশে প্রচলিত ইটভাটা বন্ধ করে পরিবেশবান্ধব ইটভাটা নিশ্চিত করা।
৫. নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা—আবর্জনা ফেলার জন্য অতিরিক্ত জায়গার সংকুলান করা।
৬. বায়ু দূষণ রোধে ১০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা।
৭. সরকারের পক্ষ থেকে বায়ু দূষণ রোধে অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করে বেসরকারি পর্যায়ে হস্তান্তর করা।
৮. সিটি করপোরেশনসহ সারাদেশে বাড়ি নির্মাণ করার জন্য প্রচলিত আইনের বাস্তবায়ন কার্যকর করতে প্রশাসনকে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।
৯. ফুটপাত দখলমুক্ত করতে হবে এবং পাবলিক পরিবহনের সংখ্যা কমিয়ে সাইকেল লেন চালু করতে হবে।
১০. বায়ুদূষণ রোধে জনসচেতনতা তৈরিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সর্বস্তরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মধ্যে সমন্বয় করে আগামীতে পদক্ষেপ নিতে হবে।