এসময় জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান জননেতা মিজানুর রহমান মিজুর নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব শেখ বাদশাউদ্দিন মিন্টু ও ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টি চেয়ারম্যান নারায়ন দাস, বিধান দাস সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন গৌরবদীপ্ত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ (২৬ শে মার্চ)। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন—সার্বভৌম ‘বাংলাদেশ’ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন—সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত সশস্ত্র জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মুক্তির ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাস।
তিনি আরো বলেন, বাঙালি জাতিকে মুক্তির মহামন্ত্রে উজ্জীবিত করে ধাপে ধাপে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পথে এগিয়ে নিয়ে যান ইতিহাসের মহানায়ক, মহাবীর, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ’৪৮—এ বাংলা ভাষার দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের পথ বেয়ে ’৫২—এর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, ’৫৪—এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়লাভ, ’৫৬—এর সংবিধান প্রণয়ন আন্দোলন, ’৫৮—এর মার্শাল ’ল বিরোধী আন্দোলন, ’৬২—এর শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ’৬৬—এর বাঙালির মুক্তির সনদ ৬—দফা আন্দোলন, ৬৮—এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ’৬৯—এর রক্তঝরা গণঅভ্যুত্থান, ৬—দফা ভিত্তিক ’৭০—এর ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ খ্যাত কালজয়ী ঐতিহাসিক ভাষণ ও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন প্রভূত ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত লক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে বাঙালি জাতি।
মিজানুর রহমান মিজু বলেন, ৭১’র পেতাত্মরা আবারো জেগে উঠেছে। তাদের সেই বিষ দাঁত ভেঙ্গে দিতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সকল অপশক্তিকে প্রতিহত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।