নিজস্ব প্রতিবেদক:
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ এখন দুর্নীতি ও লুটপাটের রাজত্বে পরিনত হয়েছে। আযব দেশে দুর্নীতিবাজরা নিরাপদে থাকে আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লেখার কারনে সাংবাদিক গ্রেফতার হয়। দেশ করোনা ও দুর্নীতির মত ক্ষতিকর ব্যাধিতে ক্ষত-বিক্ষত। এর মধ্যে একটি শারীরিক এবং অন্যটি সামাজিক ব্যাধি। শারীরিক ব্যাধি চিকিৎসা করে নির্মূল করা সম্ভব হলেও সামাজিক ব্যাধি চিকিৎসা দিয়ে নির্মূল করা যায় না। এর জন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে সামাজিভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। সোমবার (১২ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন। তারা বলেন, দেশের জাতীয় সংসদের সদস্যদের বিপুল অধিকাংশই এখন ব্যবসায়ী, যা দুনিয়ার অন্য কোনো দেশে দেখা যায় না। তারা ও অসৎ আমলারা রাজনৈতিক ক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে দেশে বেপরোয়া লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। এদেরকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো কেউ আছে বলে মনে হয় না। আর এই কারণে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘড়ে ফাটল দরলেও দুর্নীতিবাজরা গ্রেফতার হয় না। নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির এমন কোনো ক্ষেত্র আজ নেই যেখানে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম হয়নি। এটা ঘটেছে দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তারের মাধ্যমে। বাংলাদেশে এই দুর্নীতির অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, এটা শুধু শীর্ষ ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটা ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র, মহামারীর মতো। এর ফলে অর্থনীতির একেবারে নিচের স্তর পর্যন্ত দুর্নীতিতে আচ্ছন্ন হয়েছে। দুর্নীতি, দলবাজি, স্বজনপ্রীতি ও মধ্যস্বত্বভোগীদের ঠেকানো না গেলে দেশের মানুষের মাঝে বৈষম্য কমবে না। সুযোগ থাকার কারণেই দেশে আয় ও ধন বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলেন, দুর্নীতি আর দুবৃর্ত্তায়নের বিরুদ্ধে এখনই জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে দেশের ভবিষ্যত ভয়াবহ সংকটে পড়তে বাধ্য। দুর্নীতি বৃদ্ধি সমাজ, রাজনীতি ও প্রশাসনে সৃষ্টি করেছে নৈরাজ্য ও অসহনীয় অস্বাভাবিকতা। দেশবাসী এই ব্যাধির অবসান চায়। তাই দুর্নীতিমুক্ত দেশ প্রতিষ্ঠায় পাল্লা দিয়ে বেড়ে উঠা দুর্নীতি ও অদৃশ্য শক্তির অধিকারী দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে এখনই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।