নাঈম হোসাইন,দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের কাছে এখন অনুপ্রেরণার নাম। নারীর ক্ষমতায়ন থেকে শুরু করে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল করতে গিয়ে কোনো দিন কারো কাছে মাথানত করেননি। শেখ হাসিনার হাতেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সবচে নিরাপদ। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোরের পাতা সংলাপে এমনটাই দাবি করেছেন বক্তারা। ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজনের ১০৪তম পর্বে আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এস এম শাহাজাদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রফেসর, পটুয়াখালী দশমিনার বীর মুক্তিযোদ্ধা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ইউনিটের সদস্য আবু জাফর মোঃ সালেহ, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ইউরোবাংলা টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা ইয়াসিম মিয়া বাবু। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
এস এম শাহাজাদা বলেন, প্রেক্ষাপট অনেকটাই ভিন্ন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে ৩ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়েছিলেন। এরপরই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নেমে আসে। দেখুন, মার্কিন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিৎঞ্জার একসময় বাংলাদেশকে বলেছিল, বাংলাদেশ হচ্ছে একটা তলাবিহীন ঝুঁড়ি। কিন্তু আজকে বাংলাদেশ মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পাঠাচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে বাংলাদেশ উদীয়মান শক্তি। একসময় বাংলাদেশ পাওয়ার হাউজ হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণেই ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ঠাঁই দেয়ার পর ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম তাকে ‘মানবতার জননী’ বলে আখ্যায়িত করেছিল। তার দেয়া ভিশন ২০২১ এর মধ্যেই বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। এমনকি বাংলাদেশ ২০৩০ এর মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। একটা উন্নয়নশীল দেশ কিভাবে বিশ্বের বুকে এগিয়ে যেতে পারে, তা শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন। বিশ্বব্যাংককে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পদ্মা সেতুর মতো মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করছে নিজস্ব অর্থায়নে। জঙ্গিবাদ যেখানে পুরো বিশ্বেরই সমস্যা। সেখানে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গিবাদের স্থান হচ্ছে না। এমনকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল আইন প্রণয়ন করেছিলেন। আমাদের আইনটাকে এখন অনেক দেশ অনুসরণ করছে। আমি আরো বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। এটা ছিল বিশ্বের সবচে বড় কালো আইন। আওয়ামী সরকার গঠন করে ১৯৯৬ সালে এই আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডেরও বিচার হয়েছে। আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের কারণে ডিজিটাল বাংলাদেশ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। আজ আমরা এই অনুষ্ঠানেও ডিজিটাল প্লাটফর্মে বসে কথা বলছি। আমাদের গ্রামের একজন মানুষের কাছেও স্মার্ট ফোন আছে। তারা প্রবাসী আত্নীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন। আমি জননেত্রীকে শুধু জননেত্রী বলেই আখ্যা দিতে চাই। কারণ তিনি জনগণের ভাষা বুঝেন। এখন দেশে শিক্ষা, যোগাযোগ, নারীর ক্ষমতায়নে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। তিনি কতটা মানবিক হলে একজন বিশেষ তরুণীর সাথে কথা বলেন, দুই মাথাওয়ালা একটি শিশুকে চিকিৎসার জন্য জার্মানি পাঠিয়েছেন। তিনি শুধু বাংলাদেশের নেত্রী নন এখন, তিনি এখন বিশ্ব নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন।