এম.এ.রহমান,ঢাকা:
গত(৩১ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের আওতায় আনতে কমিশন গঠন জরুরী হয়ে উঠেছে।
জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম (বিজেআরএফ) ও বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের যৌথ উদ্যোগে গত ৩১ আগস্ট রাতে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ও বর্তমান প্রেক্ষিত শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তারা এই আহবান জানান।
গত দুপুরে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে ‘১৫ আগস্ট ’৭৫ থেকে ২১ আগস্ট ২০০৪ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও গণমাধ্যম শীর্ষক এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন দৈনিক বাংলাদেশ অবজারভার পত্রিকার সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। প্রধান অতিথির হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে মূল বক্তব্যের ওপর আলোচনায় অংশ নেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়অ কমিটির সদস্য বেগম শামসুন নাহার ভুঁইয়া এমপি, প্রবাসী সাংবাদিক আবু নছর, ববঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মানিক, বিজেআরএফ –এর সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানসহ সাবেক সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করতে চেয়েছিলো। একই অপশক্তি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরাধিকার জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার হত্যাকান্ডের বিচার সমাপ্ত করেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার প্রক্রিয়া চলমান আছে। ১৫ আগস্ট ’৭৫ থেকে ২১ আগস্ট ২০০৪ পর্যন্ত হত্যাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া জরুরী ওয়ে ওঠেছে।
আলোচনা সভায় ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতির প্রয়াণে শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এবং ২১ আগস্ট ২০০৪ সালে সকল শহিদদের বিদেহী আত্মার কল্যাণ কামনায় দোয়া করা হয়।