।।রাজিবৃুল হাসান, লেখক-কলামিস্ট।।
স্বাধীনতা পর দেশের ৮০ শতাংশ দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মাত্র তিন মাসের মধ্যে মিত্র বাহিনীর ভারতীয় সেনাদের ফেরত পাঠাতে সক্ষম হন তিনি। এরপরই ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ দেশের ব্যাংক, বীমা, পাট, বস্ত্র, চিনি ও জাহাজ শিল্পসজ সব ভারীশিল্পকে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। কিন্তু বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য তার দূরদর্শী সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয় পুঁজিবাদী শোষক গোষ্ঠী। মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বঙ্গবন্ধুবিরোধী ষড়যন্ত্রে সক্রিয় হয়ে ওঠে এদেশের পাকিস্তানি এজেন্টরা। সেই ঘটনার ৩০ বছর পর এসব নিয়ে গোপন দলিল প্রকাশ করে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। সেখানেই উঠে এসেছে জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাকের দীর্ঘ নীলনকশার তথ্য-প্রমাণ।
মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন হিসেবে যুক্ত রাখার জন্য মার্কিন গোয়েন্দাদের সঙ্গে আঁতাত গড়ে ওঠে খন্দকার মোশতাক-তাহের উদ্দীন ঠাকুর ও চাষী মাহবুবদের। এটি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় সেসময় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে বৈঠকে যাওয়া থেকে মোশতাককে বিরত রাখে প্রবাসী সরকার। তবে স্বাধীনতার পর তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় আবারো এক ছাতার নিচে জমায়েত হয় ফারুক-রশীদ-ডালিম-হুদাসহ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা। উপ-সেনাপ্রধান হিসেবে কর্মরত জিয়াউর রহমানের সঙ্গেও শলাপরামর্শ করে তারা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য তাদের নিজেদের মতো করে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় জিয়া। শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে জিয়ার প্রত্যক্ষ সমর্থনের কারণে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার সাহস পায় মোশতাক চক্র। ফলে, জিয়া-মোশতাকদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ইতিহাসের নিকৃষ্টতম হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করে এই বিশ্বচরাচর। এই কালরাতে বর্বরভাবে হত্যা করা হয় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের।
এর আগে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে দমিয়ে দিতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় পাকিস্তানিরা। তাই স্বাধীনতার পর খুবই সন্তপর্ণে পাকিস্তান ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আঁতাত করে তাকে হত্যার নীলনকশা করে জিয়াউর রহমান-মোশতাক গং। এবার তারা বাইরে থেকে আর কোনো আততায়ী পাঠানোর ঝুঁকি না নিয়ে, দেশের ভেতর থেকেই আততায়ী তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়। ১৯৭২ সাল থেকেই তারা গোপনে সংগঠিত করতে থাকে হঠকারী সেনাকর্মর্তাদের। এ ব্যাপারে ঢাকার মার্কিন কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা ওয়াশিংটনে একাধিক তারবার্তা পাঠিয়েছেন সেই সময়ে। মার্কিন দূতাবাসের এসব গোপন নথি ২০০৫ সালে অবমুক্ত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়াউর রহমান ও মোশতাকের প্রত্যক্ষ ও দীর্ঘমেয়াদি ভূমিকার স্পষ্ট দলিল প্রকাশ্য হয়ে পড়ে।
||বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য আততায়ী পাঠিয়েছিল কারা?||
তীব্র গণআন্দোলনের মুখে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বাঙালি জাতির একক মুখপাত্র ও অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৬৯ সালজুড়ে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে পথেপ্রান্তে জনমত গঠন করেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর তুমুল জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তাকে হত্যা করার জন্য আততায়ী পাঠানো হয় পশ্চিম পাকিস্তান থেকে। ১৯৬৯ সালের ২০ ডিসেম্বর এই তথ্য জানতে পারেন বঙ্গবন্ধু। সেই বছরের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকার মার্কিন কনস্যুলেট থেকে ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো নথিতেও এ বিষয়টি উল্লেখ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
গোপনীয় সেই মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান তাকে হত্যার জন্য আততায়ী পাঠানোর সংবাদ পান। তবে তিনি এই তথ্যকে প্রথমে গুরুত্ব দিতে চাননি। তবে ২২ ডিসেম্বর তিনি এ বিষয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ লাভ করেন। এরপর থেকে তার লোকজন চারপাশে সতর্ক নজরদারি শুরু করে।
ঢাকা থেকে ২৯ ডিসেম্বর (১৯৬৯) ওয়াশিংটনে এই প্রতিবেদনটি পাঠিয়েছিলেন ঢাকায় মার্কিন কনস্যুলেটের পলিটিক্যাল অফিসার এন্ড্রু আই কিলগো। তিনি ১৯৬৭ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যণ্ত ঢাকায় কর্মরত ছিলেন। তার প্রতিবেদনে তিনি তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শেখ মুজিবের জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন।
||দীর্ঘসময় ধরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনা ও জিয়া-মোশতাকের ভূমিকা||
২০০৫ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বেশকিছু গোপন দলিলাদি প্রকাশ করে। যার মধ্যে অন্যতম হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ঢাকা থেকে ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্মকর্তাদের পাঠানো বিভিন্ন তারবার্তা। সেখানকার ৩১৫৬ নম্বর কনফিডেন্সিয়াল ডকুমেন্ট থেকে দেখা যায়, ১৯৭২ সালে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা নিউবেরি তার ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্র দফতরে একটি আশঙ্কাজনক তথ্য জানিয়ে তারবার্তা পাঠান। তিনি জানান, ১৯৭২ সালে মুজিব সরকারের অগোচরে মেজর সৈয়দ ফারুক রহমান ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে গিয়েছিল অস্ত্র সংগ্রহের ব্যাপারে আলোচনা করতে।
আরেক তারবার্তায় তিনি আরো জানান, ঠিক পরের বছর ১৯৭৩ সালের ১১ জুলাই মেজর ফারুকের ভায়রা ভাই মেজর আবদুর রশিদও মার্কিন দূতাবাসে গিয়েছিল অস্ত্র সংগ্রহের জন্য। এসময় মেজর রশিদ দাবি করেছিল, সে তৎকালীন ব্রিগ্রডিয়ার জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত একটি কমিটির পক্ষে সেনাবাহিনীর জন্য অস্ত্র ক্রয় নিয়ে কথা বলতে মার্কিন দূতাবাসে এসেছে।
এদিকে ঢাকা থেকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইউজিন বোস্টারের পাঠানো আরেকটি তারবার্তায় (সিক্রেট ডকুমেন্ট নম্বর ২১৫৮) জানা যায়, ১৯৭৪ সালের ১৩ মে মেজর ফারুক উচ্চতম পর্যায়ের বাংলাদেশ সেনা কর্মকর্তার নির্দেশে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহযোগিতা চায়। আর এই উচ্চতম ব্যক্তিটি হলো তৎকালীন উপ-সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান।
এমনকি ১৯৯২ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফারুক নিজেও স্বীকার করে যে, সে ১৫ মাস ধরে মুজিব হত্যার পরিকল্পনা গুছিয়েছিল। এমনকি ১৯৭৫ সালের ২০ মার্চ সে তৎকালীন উপ-সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের সঙ্গে দেখা করে খোলামেলা আলোচনাও করে। অভ্যুত্থান বাস্তবায়নের চূড়ান্ত পরিকল্পনা শুনে জিয়া সশরীরে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে অস্বীকার করে কিন্তু তাদের (জুনিয়র সেনা কর্মকর্তাদের) নিজেদের মতো করে এগিয়ে যাওয়ায় নির্দেশ দেয়। এদিকে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বেসামরিক নেতৃত্বকে রাষ্ট্রপতির পদে রাখার জন্য খন্দকার মোশতাকের সঙ্গেও এ বিষয়ে বৈঠক করে তারা। রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য মোশতাকও তাদের চূড়ান্ত পরিকল্পনায় সঙ্গে সহমত পোষণ করে।
এদিকে ১৫ আগস্ট ট্রাজেডির সঙ্গে খোন্দকার মোশতাকের সম্পৃক্ততার বিষয়ে মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজ চমকে যাওয়ার মতো তথ্য দিয়েছেন। এ বিষয়ে লরেন্স লিফশুলজের এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন কংগ্রেসের এশিয়া বিষয়ক সাব কমিটির চেয়ারম্যান স্টিফেন সোলার্জের মাধ্যমে পররাষ্ট্র দফতর জানায়, ১৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে আগেই কোনো কোনো মার্কিন কর্মকর্তার যোগাযোগ হয়েছিল। তবে মার্কিন দূতাবাস এই যোগাযোগের ব্যাপারে মুজিব সরকারকে অবহিত করেছিল।
কিন্তু দূতাবাস কাকে এই তথ্য জানিয়েছিল তা জানাতে বিব্রতবোধ করে পররাষ্ট্র দফতর। এমনকি সাংবাদিক লিফশুলজ যখন চানতে চান, সেই ব্যক্তিটি মোশতাক বা সিআইএ-এর স্টেশন চিফ ফিলিপ চেরির গোয়েন্দাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত জিয়াউর রহমান কিনা, তার কোনো স্পষ্ট জবাবও দেয়নি তারা। মূলত, ১৯৭২ সাল থেকে মুজিব হত্যার যে গোপন যোগাযোগ শুরু হয়েছিল, তার সঙ্গে সরাসরি জিয়া-মোশতাক যুক্ত থাকার কারণেই বছরের পর বছর ধরে এগুতে পেরেছে তাদের পালিত খুনি চক্র।
১৯৭৫ সালের জুন মাসে ফারুক-রশিদের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের বৈঠক এবং বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ব্যাপারে তাদের অভিসন্ধির তথ্য জানতে পারে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তারা এটি বঙ্গবন্ধুকে অবহিত করেন। তবে তাকে কোনো বাঙালি হত্যার ষড়যন্ত্র করতে পারে বলে তা বিশ্বাসযোগ্য মনে করেননি বঙ্গবন্ধু, বাঙালির প্রতি ছিল তার এতাটাই অগাধ বিশ্বাস। অথচ সমসাময়িককালের ঘটনা সম্পর্কে পরবর্তীতে পিলে চমকে যাওয়ার মতো তথ্য দিয়েছেন তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইউজিন বোস্টার। মার্কিন সাংবাদিক লিফশুলজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ১৯৭৪ এর নভেম্বর থেকে ১৯৭৫ এ জানুয়ারি পর্যন্ত মার্কিন দূতাবাস-কর্মকর্তাদের সঙ্গে যে লোকগুলো বৈঠক করেছিল, তারা আসলে উপসেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান ও রাজনীতিবিদ খন্দকার মোশতাক গ্রুপের লোক।
এমনকি বিখ্যাত সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেজর রশিদ পরবর্তীতে নিজেই বলেছে, ‘জিয়া বলেছিলেন, একজন জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা হিসেবে তিনি এতে সরাসরি জড়িত হতে চান না। তবে জুনিয়র কর্মকর্তারা যদি প্রস্তুতি নিয়েই ফেলে, তাহলে তাদের এগিয়ে যাওয়া উচিত।’
সার্বিক অনুসন্ধান ও যাবতীয় তথ্যের ভিত্তিতেই লরেন্স লিফশুলজ কর্নেল তাহের হত্যা মামলার ব্যাপারে ২০১১ সালে বাংলাদেশের আদালতে একটি বিবৃতি দেন। সেখানেও তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। জিয়া আগস্ট অভ্যুত্থানের মুখ্য খেলোয়ারদের অন্যতম। তিনি চাইলে এই অভ্যুত্থান বন্ধ করতে পারতেন। কারণ তিনি এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে আগেই ওয়াকিবহল ছিলেন।’
এদিকে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নিজেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে খন্দকার মোশতাক। এরপরই সে খুনি মেজর রশিদের আত্মীয় এম আর সিদ্দিকীকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয় এবং ফারুক-রশিদদের শঙ্কামুক্ত রাখার জন্য ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে সংবাদ পাঠায়। এ বিষয়েও সেই সময় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরকে গোপনীয় বার্তা পাঠান ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত বোস্টার।
মূলত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পথ রুদ্ধ করতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তানি খুনি-ধর্ষকদের দোসর জামায়াত ও তাদের সহযোগী সংগঠন আল বদর, আল শাসম ও রাজকাররা। স্বাধীনতার পর থেকেই গোপনে গোপনে দেশকে অস্থির করার জন্য ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছিল তারা। উগ্রবাদী ও পুঁজিবাদী গোষ্ঠীদের মনোভাব বুঝে এবং তাদের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতা দখলের জন্য পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পটভূমি রচনা করে উচ্চাভিলাসী সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাক। যার ফলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতকে একদল হঠকারী সেনা সদস্যের হাতে প্রাণ দিতে হয় বঙ্গবন্ধুকে। এমনকি মোশতাক-জিয়াউর রহমানরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই থামতে চায়নি, নিজেদের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষমতা নিশ্চিত করতে তারা বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবারকে পর্যন্ত হত্যা করে সেই রাতে। এমনকি বঙ্গবন্ধুর শিশুপুত্র শেখ রাসেলকেও ছাড় দেয়নি এই নরপশুরা।
[রাজিবুল হাসান-সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি, সহকারী সম্পাদক-দৈনিক সকালের কাগজ]