নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বগুড়ায় বিশাল আনন্দ শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ।
গতকাল (১৭ মে) মঙ্গলবার বিকেলে শহরের সাতমাথা মুজিব মঞ্চে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ভিপি সাজেদুর রহমান সাহীনের সভাপতিত্বে এতে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বাবু নির্মল রঞ্জন গুহ। ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, ডাকসুর সাবেক নেতা ম আব্দুর রাজ্জাক।
জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্তর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম আসাদুর রহমান দুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. জাকির হোসেন নবাব, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ্ জালাল মুকুল ভিপি, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক কে এম মনোয়ার ইসলাম বিপুল,স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মেহেদী হাসান রবিন, সদর উপজেলা আ’লীগ সভাপতি আবু সুফিয়ান সফিক, সাধারণ সম্পাদক মাফুজুল ইসলাম রাজ, জেলা কৃষকলীগ সভাপতি আলমগীর বাদশা, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, জেলা যুবলীগ সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু,সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা হাসানুল হক বান্না, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতা আহসান হাবীব বাঁধন।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য বক্তারা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম হয়েছিল। স্বদেশের মাটিতে আলোর মশাল হাতে কাণ্ডারি হয়ে এসেছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বাংলার মানুষের হারিয়ে যাওয়া অধিকার পুনরুদ্ধার করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি বারবার স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আবির্ভূত হয়েছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা রূপে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বাংলাদেশকে।
ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নিরবচ্ছিন্ন দীর্ঘ সংগ্রাম শুরু হয়। সামরিক জান্তা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে চলে তার একটানা অকুতোভয় সংগ্রাম। জেল-জুলুম, অত্যাচার কোনোকিছুই তাকে তার পথ থেকে টলাতে পারেনি। শেখ হাসিনার স্বদেশ ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়।
গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, নারীর ক্ষমতায়ন, বিদ্যুৎ, তথ্যপ্রযুক্তি, গ্রামীণ অবকাঠামো, বৈদেশিক কর্মসংস্থানসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আজ উজ্জ্বল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মাথাপিছু আয় বাড়ছে, কমছে দারিদ্র্যের হার। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাধীন পদ্মাসেতুর কাজ প্রায় শেষের পথে।
মেট্রোরেল, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, কর্ণফুলী টানেল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজও নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে তিনি রূপকল্প ২০২১’ এর সফল বাস্তবায়নের পথ ধরে ‘রূপকল্প ২০৪১’ ও ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ এর মতো দূরদর্শী কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে শেখ হাসিনার এসব যুগান্তকারী কর্মসূচি বিশ্বে আজ রোল মডেল। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। মহামারি করোনার প্রভাবে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োচিত ও সাহসী পদক্ষেপের ফলে করোনার প্রভাব মোকাবিলা করে সরকার অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। সরকারের উন্নয়ন দেখে দেশবিরোধীরা চক্রান্ত করছে, তারা মিথ্যাচার চালাচ্ছে। সকল চক্রান্ত প্রতিহত করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান বক্তারা। সমাবেশ শেষে বিশাল আনন্দ শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে।
এতে হাতি, ঘোড়ার গাড়ি সহ বর্নিল সাজে নেতা কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।