নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফিলিস্তিনি জনগণের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও ন্যায়বিচারের জন্য অবিচ্ছেদ্য আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের প্রতি বাংলাদেশের জনগন সকল সময়ই অঙ্গীকারাবদ্ধ মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ব্রিটিশ ও মার্কিন ষড়যন্ত্রের কারণেই ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইহুদিদের জন্য ‘ইসরায়েল’ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি বলেছেন, ইঙ্গ-মার্কিন ষড়যন্ত্রের কারণে আজ ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠন তো দূরের কথা, তারা নিজ আদি নিবাস থেকে বিতাড়িত হচ্ছে। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে আরব-ইহুদি দ্বন্দ্বের সূত্রপাত, বর্তমানে তা গুরুতর বিশ্ব সংকটে রূপ নিয়েছে।
রবিবার (২৯ নভেম্বর) ফিলিস্তিনী জনগণের সাথে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, ফিলিস্তিনের নিপীড়িত-নির্যাতিত জনগণের জন্য বাংলাদেশের সহমর্মিতা সব সময়ই অটুট রয়েছে। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ প্রস্তাব অনুযায়ী ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন- আলাদা দুটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা থাকলেও পাশ্চাত্য শক্তির ষড়যন্ত্র আর চক্রান্তের কারণে এত দিন ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে গঠিত হতে পারেনি। ১৯৯৬ সালে পশ্চিম তীর ও গাজায় ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য নামমাত্র স্বায়ত্তশাসন কায়েম হয়েছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, নির্যাতিত লাঞ্ছিত জনগোষ্ঠী হিসেবে ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণ সব সময়ই সংহতি জানিয়ে আসছে, আজও জানাচ্ছে। প্রতিনিয়ত মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন বন্ধে দখলদার শক্তির ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।
তারা আরো বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের প্রতি বাংলাদেশের জনগন অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। ফিলিস্তিনির জনগনের দীর্ঘ পাঁচ দশকের সংগ্রামের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে।একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তাদের ন্যায়সংগত আকাঙ্ক্ষার প্রতি আমাদের অবিচল সমর্থন সকল সময়ই থাকবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর প্রতিষ্ঠিত ন্যাপ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সকল সময়ই বিশ্বের সকল স্বাধীনতাকামী ও নির্যাতিত মানুষের পক্ষে ছিল, আছে এবং থাকবে। কয়েক দশক ধরে উপনিবেশিক নির্যাতন এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালে বিপুল সংখ্যক মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়া, গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জনগনের রয়েছে। নীতিগতভাবেই বাংলাদেশের জনগন নিপীড়নের শিকার হওয়া লোকদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করে।
তারা ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে ফিলিস্তিন প্রশ্নে শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী সমাধানের উপায় খুঁজতে একতাবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানায়।