মো. মহসিন রেজা রিপন:
বীর মুক্তিযোদ্ধা মজলুম জননেতা প্রয়াত ইয়াকুব আলী হাওলাদার এর মৃত্যু বার্ষিকী স্মরনে আজ (১২ ফেব্রুয়ারী) শনিবার দুপুরে পারিবারিকভাবে মরহুমের আংগারিয়ার নিজ বাড়িতে মিলাদ ও দোয়ার মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইয়াকুব আলী হাওলাদার শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র থাকাকালীন সময়ে ২০০৫ সালের ১২ ফ্রেব্রুয়ারী হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে, হেলিকপ্টারের মাধ্যমে তাকে দ্রুত ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়, সেসময়ই ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি অকাল মৃত্যু বরণ করেন। তার মৃত্যুর খবরে জেলার দলবল নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন, যেনো তাদের অভিভাবককে হারিয়ে ফেলেছেন। শোকের ছায়া নেমে এসেছিলো জেলা বিএনপিসহ সাধারণ মানুষের মাঝে।
মৃত্যুর সতেরো বছর পেরিয়ে যাওয়ায় প্রয়াত এই নেতার রাজনৈতিক সহকর্মীরা ভুলে গেলেও ভুলতে পারেননি তার পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষী ভক্তরা।
তিনি একজন সাদা মনের মানুষ ছিলেন, নেতা হিসেবেও তার জনপ্রিয়তা ছিলো অভাবনীয়। নেতা কর্মীরাও তাকে অত্যান্ত ভালোবাসতেন, তিনি ছিলেন একজন মজলুম জননেতা দলবল নির্বিশেষে জনসাধারণের সাথে তার সম্পৃক্ততা ছিলো চোঁখে পড়ার মতো। তিনি সবসময় ছোট বড় সকলকে ছালাম দিতেন। তার সেই ভালোবাসা সাধারণ মানুষ আঁজো ভুলতে পারেননি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত ইয়াকুব আলী হাওলাদার শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের পদসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন দলে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন একাধীকবার, শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, এছাড়া মৃত্যুরকালেও তিনি শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত ইয়াকুব আলী হাওলাদার এর ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছেন। তারাও বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন।
ছেলে তকিব হাওলাদার বলেন, আমার বাবাকে সবাই ভালবাসতেন তিনিও তার জীবন মানুষের জন্য উৎসর্গ করে গেছেন, আমরাও চেষ্টা করছি আমার বাবার আদর্শে মানুষ হতে।