নিজস্ব প্রতিবেদক:
পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন আজ (৫ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় কার্যালয় মালিবাগে মহানগর কমিটির উদ্যোগে “ঢাকা শহরের বায়ু দূষণ রোধে করণীয়” শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ—দপ্তর সম্পাদক ও মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুল আজিজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার। উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রত্যাশার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সবুজ আন্দোলন পরিচালনা পরিষদের পরিচালক অভিনেতা উদয় খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কার্যনির্বাহী পরিষদের সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ও সময়ের আলোর স্টাফ রিপোর্টার সমিরন রায়, কক্সবাজার জেলার সদস্য সচিব আজাদ ইসলাম।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ঢাকা শহরের বায়ুর মান নিম্নমুখী হওয়ার অন্যতম কারন প্রশাসনের উদাসীনতা। মেয়রদয় তাদের দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে ব্যর্থ। সম্প্রতি ঢাকা শহরের বায়ু দূষণের নগরী হিসেবে পৃথিবীতে দ্বিতীয় অবস্থান গ্রহণ করেছে। বায়ু দূষণের ফলে এ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, সাইনোসাইটিস, জ্বর ঠান্ডা কাশি বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি সরকারের মেগা প্রজেক্ট, ভবন নির্মাণের ফলে নির্মাণসামগ্রী যত্রতত্র রাখা বায়ু দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ। শহরের চারপাশ দিয়ে অবৈধ ইটভাটার কালো ধোঁয়া বায়ুদূষণ বৃদ্ধি করছে।
বায়ুদূষণ রোধে সবুজ আন্দোলনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়:
১) ঢাকা শহরের রাস্তা দিনে দুইবার ঝাড়ু এবং সপ্তাহে একবার পানি দিয়ে ধোয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
২) বাড়ি নির্মাণের জন্য বিল্ডিং কোড অনুসরণ এবং নির্মাণ সামগ্রী নিজ নিজ দায়িত্বে ভবনের মধ্যে রাখতে হবে।
৩) অবৈধ ইটভাটা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনে ব্যবসায়ীদের কম সুদে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪) ঢাকা শহরের চারপাশে নদীর নাব্যতা সংকট দূর করতে খননকাজ নিশ্চিত করতে হবে এবং সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে।
৫) নিয়মিত বায়ুদূষণ মনিটরিং করার জন্য আলাদা মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে এবং প্রতি সপ্তাহে বায়ুর মান নিরূপণ করে গণমাধ্যম এর সহযোগিতায় জনস্বার্থে প্রকাশ করতে হবে।
৬) ঢাকা শহরের প্রত্যেক বিল্ডিং এর ছাদে কৃষি পণ্য ও গাছের টব, প্রত্যেক শপিং মলের সামনে গাছের টব ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৭) সকল রকম দূষণ থেকে শহরকে রক্ষা করার জন্য মন্ত্রণালয়ের সাথে স্টেকহোল্ডার বডিকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নারী পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য রিয়া আক্তার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন, সদস্য আইয়ুব আনসারী জোসনা আক্তার মুন্নি, মাহি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য আখি খানম, অনন্যা রহমান রিঙ্কু, শাহজাহান আলী সাগর, ভাবনা বিথী প্রমূখ।