নারায়ণগঞ্জের কৃতি সন্তান সোনিয়া আকতার বিগত দুই যুগ যাবত বেলজিয়াম প্রবাসী হিসেবে একজন নারী রেমিটেন্স যোদ্ধার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাঁর প্রয়াত স্বামী আলমগীর হোসেনের ক্রয় কৃত সুরেশ প্লাজা, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, উকিলপাড়া, নারায়ণগঞ্জ সদরের বাণিজ্যিক ভবনের দুইটি ফ্লোরের ভাড়া সোনিয়া আক্তারের আপন বড় ভাই, মাহবুবুর রহমান ইসমাইলের জোগ সাজশে আত্মসাৎ করার পায়তারা কারীদের বিরুদ্ধে প্রতিকার পাওয়ার জন্য থানা পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার নিকট দ্বারস্থ হয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর, আইনের সহায়তা পাওয়ার জন্য সামাজিক পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেন সোনিয়া আক্তার।
সংস্থা কর্তৃপক্ষ আবেদনের বিষয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে তথ্য অনুসন্ধান করার পর সত্যতা পাওয়ার প্রেক্ষিতে (৪ জানুয়ারি) শনিবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খান অডিটোরিয়ামে নির্যাতিত নারীর পক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে, গণমাধ্যমের সহায়তায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সোনিয়া আক্তার ও তাঁর অন্য ভাই-বোনদের স্বাক্ষর জাল করে মাহবুবুর রহমান ইসমাইল কোটি টাকা মূল্যের প্রপার্টি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে সোনিয়া আক্তার এ তথ্য জানান। অন্তর্বর্তী সরকার যখন রেমিট্যান্স যুদ্ধাদের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করছেন ঠিক তখনই এমন একটি কর্মকাতা সৃষ্টি হল। সোনিয়া আক্তার বেলজিয়াম থেকে বাংলাদেশে এসে আইনি লড়াই করা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না বিধায় তিনি উপরোক্ত মানবাধিকার সংস্থার মাধ্যমে প্রশাসনের সহায়তায় আইনি অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য সর্বমহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন। মাহবুবুর রহমান ইসমাইল বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ১৪ দলীয় শরিকদল রাশেদ খান মেলনের কর্মী হিসেবে অসংখ্য অপকর্ম সম্পাদন করে বর্তমানে পোশাক পরিবর্তন করে অপকর্ম ঢাকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে ও জানা যায়। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্তপূর্বক আইনের সহায়তা নেয়ার জন্য তিনি মানবিকভাবে আবেদন করেন।