“প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক নয়, চপের ডাকাত হয়েছে সভ্যতা ও বিবেকের গালে” এ প্রতিবাদী মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন। প্রধান অতিথি ছিলেন নাবিকের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন প্রতিবাদী তারুণ্যের আহ্বায়ক মাসুদুজ্জামান ও নাগরিক ভাবনার আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ।
বক্তাগণ এহেন ন্যাক্কারজনক হামলাকে চলমান দুর্বৃত্তায়িত রাজনৈতিক শাসনের ফলে সৃষ্ট অমানবিক সমাজ ব্যবস্থার একটি উদাহরণ। জান, জবান, নাগরিক অধিকার বঞ্চিত এবং গণতন্ত্রহীন সমাজে প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক রাজপথে একজন সরব নেতা। প্রান প্রকৃতি ও মানবাধিকার রক্ষায় তাঁর কন্ঠ সর্বদা সরব। তিনি বয়সে প্রবীন একজন দেশ সেবক। তাঁর উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে হামলায় জড়িত দুষ্কৃতিকারীকে শাস্তির আওতায় আনার দাবী করছি। এদেশে চলমান নৈরাজ্য ও অমানবিকতার অবসানে সকল দেশপ্রেমিক সচেতন নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
তাঁরা বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে এখন নাগরিকরা দেশের মালিকানা হারিয়ে ঔপনিবেশিক শোষণের যাঁতাকলে পৃষ্ট। মানুষ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হারিয়েছে। ন্যূনতম নাগরিক মর্যাদা ও বেঁচে থাকার অধিকার হুমকির সম্মুখীন। রাজপথে মানুষের কথা বলার অধিকার সংবিধান গ্রাহ্য। অথচ জনগণের পক্ষে রাজপথে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে অপমান—অপদস্থ হচ্ছে দেশপ্রেমিক বিবেকবান নাগরিকেরা। প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক তার একটি উদাহরণ। বাংলাদেশ পৃথিবীর বৃহত্তম কারাগারে পরিণত হয়েছে। সরকারি দলের কর্মীরা উপনিবেশিক কারারক্ষীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। যা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। অসত্যের দেয়াল ভেঙ্গে চুরমার হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।