শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুর সদর পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের স্বর্নঘোষ গ্রামে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থীর পথসভায় মাদক বিরোধী বক্তব্য দেওয়ায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, ৯ জানুয়ারী শনিবার বিকেলে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থীর পথসভা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আঃ রশিদ সরদারের ভাই আলমগীর হোসেন আলো মাদক বিরোধী বক্তব্য দেওয়ার সময় পেছন থেকে ৮ নং ওয়ার্ডের অপর কাউন্সিলর প্রার্থী মাদক ব্যাবসায়ী মামলার আসামী ফরিদ শেখ তাকে বাজে কথা বলে এতে জনসাধারন ক্ষিপ্ত হয়ে ফরিদ শেখকে মারধরের চেস্টা করে।
এর আগে ৬ এপ্রিল ২০১৯ সালে ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে সঙ্গীসহ শরীয়তপুর জেলা ডিবি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ফরিদ শেখ।
এসময় মেয়র প্রার্থী পারভেজ রহমান জনসহ অন্যন্যে নেতৃবৃন্দরা স্টেজ থেকে নেমে গিয়ে নিরাপদ স্থানে অবস্থান নেন।
মারামারির এই ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা আঃ সামাদ তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা রমিজ উদ্দিন শরিফসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন, আহতরা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
পরে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ ও পালং মডেল থানা থেকে এসে উত্তেজিত মাদক বিরোধী স্লোগান দেওয়া ও ফরিদ শেখকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মিছিল করা জনসাধারণকে শান্ত করেন।
এ বিষয়ে আহত ফরিদ শেখকে ফোন দিলে তার বড় ভাই জাকির শেখ ফোন রিসিভ করে বলেন, ফরিদ শেখকে মারধর করছে। সে গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। এই ঘটনায় এমপির ভাই তপু মিয়া,মুক্তিযোদ্ধা আঃ সামাদ তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা রমিজ উদ্দিন শরিফ সহ কয়েকজন আহত হয়েছে।
এঘটনায় ৮ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আসন্ন নির্বাচনের কাউন্সিলর প্রার্থী আঃ রশিদ বলেন, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর পথসভায় আমার ভাই আলমগীর হোসেন আলো মাদক বিরোধী বক্তব্য দেওয়ায় কাউন্সিলর প্রার্থী মাদক ব্যাবসায়ী ফরিদ শেখ আলোর কথায় কাউন্টার দিয়ে বলে অরে মাইক দিছে কে এইসব কথা বলে, এসময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির সৃষ্টি হয়, মারামারি ছাড়াতে গিয়ে আমিও ব্যাথা পেয়েছি, মামলার বিষয়ে তিনি বলেন মামলার আমার এলাকার মহিলাসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন প্রস্তুতি চলছে।
এবিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে, মামলার ব্যাপারে জানান, এখনো অভিযোগ পাইনি অপেক্ষায় আছি।