সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ৫ দলীয় বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট (মার্কসবাদী)’র সভাপতি কমরেড ডা. এম এ সামাদ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে সকল প্রকার নিত্যপণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া শ্রমিকরা যে বেতন পায় তারা এখন অর্ধাহারে অনাহারে অতি কষ্টে জীবন যাপন করছে। বাধ্য হয়েই পোশাক শ্রমিকরা তাদের বেতন বৃদ্ধি করে ২৫ হাজার টাকা করার দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছে। তাদের ন্যায্য দাবি না মেনে ফ্যাসিস্ট সরকার ও মালিক পক্ষ পুলিশ ও পেটোয়া বাহিনী দিয়ে শ্রমিকদের উপর হামলা—গুলি চালিয়ে রাসেল হাওলাদার ও ইমরান নামের ২ জন শ্রমিককে হত্যা করেছে। অসংখ্য শ্রমিককে আহত করেছে। আমরা এই হত্যাকান্ডের বিচার, নিহতদের ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুচিকিৎসা দাবি করছি এবং শ্রমিকদের উপর গ্রেফতার দমন—পীড়ন বন্ধ করে তাদের ন্যায্য দাবি ন্যূনতম মজুরী ২৫ হাজার টাকা ঘোষণা দাবি জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বর্তমান সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা জোর করে দখল করে রেখেছে। এই সরকারের সাথে জনগণের কোন সম্পর্ক নেই। দেশের সকল বিরোধী দল এই সরকারের পদত্যাগ ও দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছে। এই আন্দোলনে দেশের ১৬ কোটি জনগণ অংশগ্রহণ করেছে সরকার ভীত হয়ে বিরোধী দলের সভা—সমাবেশে হামলা ও নেতাকর্মীদের গ্রেফতার দমন—পীড়ন চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। আমরা বিরোধী দলের সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি ও দমন—পীড়ন মামলা—হামলা বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি।
সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন, ৫ দলীয় জোটের শরীক দল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুর রহমান, বাংলাদেশের সোশ্যালিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড শাহীন আহমেদ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (মার্কসবাদী)’র সভাপতি কমরেড আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মাওবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড বিধান দাস, বাংলাদেশের সমতা পার্টির সভাপতি কমরেড রমজান আলি , কমরেড আলাউদ্দিন, কমরেড তারেক ইসলাম বিডি নারী নেএী কমরেড রুমি ও কমরেড তানিয়া আখতার লিমা প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।