আব্দুল হালিম নিশাণ◊◊
নারায়ণগঞ্জ পুলিশের সক্রিয়তায় নাশকতাবিহীন দূর্গা পূজা মন্ডপ উদযাপন করা হয়।
গতকাল (৫ অক্টোবর) বুধবার নারায়ণগঞ্জের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জেলার ৭টি থানায় মোট ২১৮টি পূজা মন্ডপ বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সার্বক্ষণিক পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মো: গোলাম মোস্তফা রাসেল(পিপিএম বার,বিপিএম বার)।
এসময় নারায়ণগঞ্জের কিংবদন্তি পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অর্থ) মো: জাহিদ পারভেজ চৌধুরীর ব্যাপক পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে দূর্গা উৎসবটি শান্তি শৃঙ্খলা ভাবে সফল করা হয়েছে।
বিগত বছরের তুলনায় এ বছর নারায়ণগঞ্জে নাশকতাবিহীন শান্তি শৃঙ্খলা ভাবে ৮ শতাধিক পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় এ পূজা উদযাপন করা হয়েছে।
ইতিপূর্বে বেশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের বিভীষিকা কাটিয়ে ওঠে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে। সারাদেশে উৎসব মূখর পরিবেশে সম্পূর্ণ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে, নারায়ণগঞ্জের ৭টি থানা এলাকায় শারদীয় দুর্গাপূজার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং শহরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন। নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার-মো: গোলাম মোস্তফা রাসেল(পিপিএম বার, বিপিএম বার), মো: জাহিদ পারভেজ চৌধুরী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( প্রশাসন ও অর্থ) ও মো: আমীর খসরু অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ)সহ তাঁদের নেতৃত্বে জেলার ৮ শতাধিক পুলিশের ব্যাপক নজরদারিতে দূর্গা পূজার নিরাপত্তায় দেওয়া হয়েছে। আরও দেখা গেছে ২১৮টি দূর্গা পূজা মন্ডপে বাংলাদেশ আনসার বাহিনীরও ব্যাপক তৎপরতা। এতে আরও আইন শৃঙ্খলা হিসেবে কাজ করেছেন সাদা পোশাকধারী বাহিনী ও র্যাব সহ সকল ধরনের আইন শৃঙ্খলা কর্মকর্তা কর্মচারী।
এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আমীর খসরু সাংবাদিকদের জানান, আমাদের বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ৮ শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তা, সাদা পোশাক বাহিনী, র্যাব, আনসার বাহিনী,জেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সকল সচেতন মহল এক যোগে আমাদের সাথে যৌথ ভাবে কাজ করছেন। প্রতি বছরের ন্যায় অপ্রীতিকর ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সার্বক্ষণিক ভাবে যোগাযোগ আদান প্রদান করে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ‘মা কালী দূর্গা পূজার’ জন্য ব্যাপক ভূমিকায় ছিল পুলিশ প্রশাসন। তিনি আরও বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করে, উৎসব মূখর পরিবেশে সম্পূর্ণ রুপে অনুষ্ঠানটির দায়িত্ব পালন করা হয়েছে।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিগত বছরের তুলনায় এ বছর দূর্গা পূজা উৎসবের কঠোর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল বাংলাদেশ পুলিশ। সেক্ষেত্রে আমি নারায়ণগঞ্জে নতুন যোগদানকৃত পুলিশ সুপার হিসেবে ৮ শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তাদের যৌথ উদ্যোগে সুষ্ঠু ভাবে অনুষ্ঠানটি সম্পূর্ণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দূর্গা পূজার পূর্ব প্রস্তুতি কালে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং প্রতিটি প্রশাসনকে নিয়ে ‘সিরিজ অব মিটিং’ পরিচালনা করেছি। কারণ এক ধরনের লোক হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দূর্গা উৎসবকে নিয়ে অহেতুক প্রোপাগন্ডা অর্থাৎ প্রচারণা ছড়াচ্ছে। সেক্ষেত্রেও আমরা অবৈধ ‘অনলাইন ও সোশ্যল মিডিয়া’ সার্বক্ষণিক ভাবে মনিটরিং করে। কয়েকজনকে আমাদের দৃষ্টিগোচর হওয়াতে তাঁদের চিহ্নিত করে, বিশেষ ভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কঠোর নিরাপত্তার ক্ষেত্রে, আমাদের ৮ শতাধিক পুলিশের সার্বক্ষণিক ডিউটি, খাওয়া, থাকা ও ইত্যাদি সহ সকল কিছু নিজস্ব অর্থায়নে দায়িত্ব পালন করা হয়।
রাসেল বলেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির নারায়ণগঞ্জ শাখার সভাপতি দীপক কুমার সাহা ও সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপনসহ সকলেই আমাদেরকে সহযোগীতা প্রদান করেছেন।
Tags: পুলিশের