সাখাওয়াত হোসেন,পাবনা থেকে♦♦
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় টানা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। প্রবল বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট এমনকি নিচু এলাকার বাড়িঘরে পানি ঢুকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কিছুটা ব্যাহত হলেও পৌরসভার চিত্র ভিন্ন। এখানকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সুন্দরভাবে চলাফেরা করতে পারছেন তারা।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) ভোররাত থেকে ভাঙ্গুড়ায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বেলা যতো গড়াচ্ছে, ক্রমেই বাড়ছে বৃষ্টি ও বাতাসের বেগ। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবেই এই বৃষ্টি।
একটানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। বৃষ্টির তীব্রতার কারণে সব কাজকর্ম থেমে গেছে। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সকাল থেকেই শহরের রাস্তাঘাট ফাঁকা। খুব কমসংখ্যক যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। ভাঙ্গুড়া পৌরসভা এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা অত্যন্ত ভালো থাকায় টানা বৃষ্টিতেও পৌরসভাসহ আশপাশের এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়নি। যার জন্য প্রশংসিত হচ্ছেন পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল।
টানা বৃষ্টিতে নিচু এলাকার রবিশস্যের ক্ষেত ও শীতকালীন শাকসবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সঙ্গে নিচু জমির আমন ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
উপজেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা বড়াল, গুমানীসহ সবগুলো নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
কথা হয় ভাঙ্গুড়া পৌরসভাকে আধুনিক, মাদকমুক্ত, আলোকিত, পরিচ্ছন্ন ও নান্দনিক সৌন্দর্যবর্ধন করে আকর্ষণীয় জনবান্ধব পৌরসভা নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া পর পর দুবার নির্বাচিত পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনাইন রাসেলের সাথে। তিনি বলেন, কিছু পেতে নয় জনগণকে সেবা দেয়ার মহান ব্রত নিয়েই তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ২০১৬ সালে প্রথমবার মেয়র হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের জানুয়ারিতে পুনরায় নৌকা প্রতীক নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে পঞ্চম মেয়র হিসেবে তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করে কাজ করে যাচ্ছেন।
উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ভাঙ্গুড়া পৌরসভার বাসিন্দা বরাত আলী মাষ্টার বলেন, ভাঙ্গুড়া পৌরসভাকে আধুনিক, মাদকমুক্ত, আলোকিত, পরিচ্ছন্ন ও নান্দনিক সৌন্দর্যবর্ধন করে আকর্ষণীয় জনবান্ধব পৌরসভা নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল। পৌরসভার মধ্যে রাস্তা-ঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা অত্যন্ত ভালো থাকায় বৃষ্টিতে পৌরসভাসহ আশপাশের এলাকা পানিতে তলিয়ে যায় না। এমন সৎ ও কর্মঠ মেয়র পেয়ে আমরা পৌরবাসী গর্বিত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এনামুল হক বলেন, এ বছর বর্ষায় বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। বৃষ্টির খুবই প্রয়োজন। বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী না হলে খুব বেশি সমস্যা হবেনা বলে তিনি জানান।