শেখ সাখাওয়াত হোসেন,পাবনা◊◊
গবেষক তো অনেক রয়েছে। তবে বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় কয়জনই বা যেতে পারে। এবার ময়মনসিংহের ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নূরুজ্জামান খান বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ গবেষকদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন।
যার বাড়ি পাবনা জেলার সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নে। তিনি পাবনা সরকারি শহিদ বুলবুল কলেজের ও আর এম একাডেমির ছাত্র ছিলেন। তার দেশি-বিদেশি গবেষণা পত্রিকায় শতাধিক গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। তার সাইটেশন সংখ্যা দশ হাজারের উপরে।তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এলসেভিয়ের সম্প্রতি যৌথভাবে এ তালিকা প্রকাশ করেছে।
অধ্যাপক ড. নূরুজ্জামান খান জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণার জন্য এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন। সাধারণত ২২টি ক্যাটাগরিতে গবেষকদের এই তালিকায় স্থান দেওয়া হয়। বাংলাদেশের মধ্যে ১৭৬ জন বিজ্ঞানী এবারের বিশ্বসেরা এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। তবে গত বছর তালিকায় ১৪২ জন গবেষকদের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল। গতবারের তুলনায় এবারে গবেষকের সংখ্যা বেড়েছে।
অধ্যাপক ড. নূরুজ্জামান খান তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও কাজ করি ভালোলাগা থেকে, দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে। বাংলাদেশে থেকে ১৭৬ জনের মধ্যে একজন হতে পেরে আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। সাথে আমার পাবনা জেলা ও নিজ বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার আনন্দ তো আছেই। আমি পাবনার মানুষের কাছে দোয়া চাই। এই পাওয়া আমাকে পরবর্তীতে ভালো রিসার্চ করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
পাবনার কৃতি সন্তানের বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় স্থান পাওয়ায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন পাবনার ভাঙ্গুড়া সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
তিনি পাবনা জেলার কৃতি সন্তান ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নুরুজ্জামান খানকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, গবেষণা দীর্ঘ পরিশ্রমের কাজ, ধৈর্যের কাজ। তবে দৃঢ় মনোভাব নিয়ে লেগে থাকলে এ কাজে সফল হওয়া সম্ভব। গবেষণার শুরুতেই যেন কেউ হাল না ছেড়ে দেয়, বরং নিজের ভুল থেকে শিখে বারবার চেষ্টা করতে হবে। তার এ সম্মানে ভূষিত হওয়ায় পাবনা জেলার মানুষ হিসেবে নিজেকে গর্বিত বলে মনে করেন তিনি। অধ্যাপক ড. নুরুজ্জামান খানের ভবিষ্যত মঙ্গল কামনা করে তার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন সিরাজুল ইসলাম।