মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন ‘এমভি ইকরাম’ জাদুঘর হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে। সেজন্য নারায়ণগঞ্জের কর্ণফুলী ডকইয়ার্ডে থাকা ‘এমভি ইকরাম’ ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শন করেছেন মন্ত্রীরা।বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫ টায় তারা এ স্মৃতিচিহ্নটি পরিদর্শন করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘নৌপ্রতিমন্ত্রী যে পরামর্শ দিয়েছেন সেটা আমাদের সবার কাছে মনঃপূত হয়েছে, সেটা হলো পরামর্শক কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটি পরামর্শ দেবে কোন জায়গাটা বেশি উপযোগী হবে, কীভাবে করবে, সংরক্ষণ কোথায় করলে ভালো হবে আমরা সেখানেই স্থান নির্ধারণ করব। আজ চারটি জায়গা পরিদর্শন করেছি। সবগুলোই ভালো জায়গা। এখন পরামর্শক কমিটি ও আর্কিটেকচার ঠিক করবেন কোথায় করলে ভালো হবে।’
এসময় নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খাজা মিয়া ও বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন।
নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য ১২ বছর ধরে নিরসলভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তারই একটি অংশ এমভি ইকরাম খুঁজে পেয়েছি। এটা উদ্ধার করা হয়েছে। এটাকে সংরক্ষণ করে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা সরকারের দায়িত্ব। সেজন্য আমরা দেখে গেলাম। পরামর্শক কমিটির প্রস্তাবনা অনুযায়ী এখানে এমন একটি মিউজিয়াম করা হবে, যা আগামী ৫০০ বছর পরও মুক্তিযুদ্ধে কথা বলবে, প্রজন্মের কথা বলবে। আমরা আশা করি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে গর্ব ও অহংকারের কাজ সমাপ্ত হবে।’