সাখাওয়াত হোসেন,পাবনা◊◊
নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশি চিকিৎসক ডা. রায়ান সাদী। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ডিএমসি) কে-৪০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
শনিবার (১ অক্টোবর) বিকেলে ডা. রায়ানের বন্ধু ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিষয়টি পোস্ট করেছেন। পোস্টের সাথে টেভোজেন বায়ো থেকে রায়ান সাদীকে অভিনন্দন জানিয়ে শেয়ার করা কয়েকটি কার্ড যুক্ত করেছেন দীপু মনি। এই প্রতিষ্ঠানে প্রধান নির্বাহী (সিইও) তিনি।
ডা. রায়ানকে অভিনন্দন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের কে-৪০ ব্যাচের বন্ধু রায়ান সাদী এমডি, এমপিএইচ, চেয়ারম্যান ও সিইও Tevogen Bio (টেভোজেন বায়ো) এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। আমরা গর্বিত। সাদীর প্রতি প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। সাদী ও তার পরিবারের প্রতি নিরন্তর শুভকামনা।’
পাবনার কৃতি সন্তান ডা. রায়ান এমবিবিএস সম্পন্ন করার পর যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে লিডারশিপ এবং ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে হেলথ পলিসি এবং অর্থনীতিতে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।
এ বছর ২৫১ জন ব্যক্তি এবং ৯২টি সংস্থা নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আবেদন করেছেন। আগামী ৩ থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন নোবেল প্রাপকের নাম ঘোষণা করা হবে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা ডা. সাদী টেভোজেন বায়ো কোম্পানির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়া ডা. রায়ান সাদী ১৯৬৪ সালের ৬ ডিসেম্বর পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তৈয়ব হোসেন ও আসমা বেগম দম্পতির বড় সন্তান। ১ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে তিনি বড়। তার সহধর্মীনী ডা. জুডি আক্তার এবং একমাত্র কন্যা এমিলি। এই বাংলাদেশি চিকিৎসক বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ায় ডা. রায়ান সাদীকে শুভকামনা জানিয়েছেন বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ, প্রভাষক, শিক্ষক, সাংবাদিক, কলামিস্ট, সাহিত্যিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ পাবনা জেলার সাধারণ মানুষ।
তারা বলেছেন, নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ডা. রায়ান সাদী মনোনীত হওয়ায়
পাবনাবাসী হিসেবে গর্ববোধ মনে করছি। সত্যিই আজকে অসাধারণ আনন্দের দিন। এত বড় সম্মানিত পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন আমাদের পাবনা জেলার একজন কৃতি সন্তান। শনিবার খবরটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই তাকে শুভকামনা জানাতে থাকেন তারা।