মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিগত ২৮ মে মাধবদীর মেহের পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুল হাসান আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরীন কন্দোলনের ফলশ্রæতিতে দুস্কৃতকারীদের হাতে নির্মম ভাবে নিহত হন। ঐ ঘটনার সাথে ব্যবসায়ী রাসেল মাহমুদ, নোবেল মাহমুদ ও তাঁর পরিবার কোনভাবেই জড়িত নয়। স্থানীয় বিরোধের জের তৎকালীন সরকারদলীয় জেলা নেতৃত্ব ও সংসদ সদস্যদের প্ররোরচানায় ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে রাসেল মাহমুদ, নোবেল মাহমুদ ও তাঁর বাবাকে মামলার আসামী করা হয়। অপরাধ না করেও তারা অপরাধি হতে পারে না। রাসেল মাহমুদ দক্ষিন আফ্রিকা প্রবাসী সফল রেমিটন্স যোদ্ধা।
বক্তারা বলেন, পতিত সরকারের মন্ত্রী, এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যানদের আধ্যিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি ও তাঁদের সন্ত্রাসী এবং অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করা এবং ভোটারবিহিন নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করার কারনেই রেমিটেন্স যোদ্ধা রাসেল মাহমুদ, তার ভাই নোবেল মাহমুদ ও বাবা হাবিবুর রহমানকে ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে আসামী ভ‚ক্ত করা হয়।
বক্তারা সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ও সরসিংদী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন জানান যে, সঠিক ও সুষ্টু তদন্তের মাধ্যমে মেহের পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুল হাসানের প্রকৃত হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় মিত্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলায় রাসেল মাহমুদ, নোবেল মাহমুদসহ সমগ্র পরিবার ও নাবালিকা সন্তানদের ভবিষ্যত জীবন ঘোর অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়বে।
মানবন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ভয়েস অব কনসাস সিটিজেন (ভিসিসি)’র চেয়ারপার্সন, বিশিষ্ট সাংবাদিক, রাজনীতিক ও লেখক মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
বক্তব্য রাখেন রাসেল মাহমুদের বাবা হাবিবুর রহমান, স্ত্রী হ্যাপী বেগম, ছোট ভাই হিমেল মাহমুদসহ স্থানীয় সচেতন নাগরিক মো. সুমন, মো. বুলবুল, মো. মিজান প্রমুখ।