প্রথমে আমরা অভিনন্দন জানাই বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর প্রধানসহ সশস্ত্র বাহিনীর সর্বস্তরের সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকদের। তাঁদের দক্ষ নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতার পরিবর্তন সংঘটিত হওয়ায় জাতি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।
১) প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত সকল ছাত্র-ছাত্রীদের ফুডকার্ড ( Food-Card) বয়সভিত্তিক আনুমানিক কমবেশি ২,০০০-৩,০০০/- (দুই/তিন হাজার) টাকা মাসিক অনুদান।
২) চাকুরি প্রত্যাশীদের কমবেশি বেকার ভাতা ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা প্রদান ।
৩) বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সেনা তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা ও নিহতদের সঠিক তথ্য অনুসন্ধানে সশস্ত্র বাহিনী ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে দ্রুত পুনর্বাসন করা।
৪) বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সরাসরি সরকারি শিক্ষাবৃত্তি প্রদান।
৫) পিলখানা শহীদ সেনা কর্মকর্তাসহ অদ্যবধি বিভিন্ন আন্দোলন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদের স্মরণে শেখ হাসিনা পরিবারের বিভিন্ন ব্যক্তির নামে স্থাপিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে উক্ত শহীদদের নামে নামকরণ।
৬) জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা মিশন সমাপনকারী দল নিরপেক্ষ সাবেক সেনা ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের চলমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও নিরাপত্তা রক্ষায় তাদেরকে জরুরী ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা এবং তাদের সহযোগী হিসেবে বিএনসিসি ও বাংলাদেশ স্কাউটসকে অন্তর্ভুক্ত করা।
৭) বিগত দিনে আন্দোলনে ব্যবহৃত সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া।
৮) গ্রামীন সামাজিক অর্থনীতি দ্রুত বিকাশে বন্ধ হয়ে যাওয়া স্থানীয় সামাজিক সংগঠনগুলোকে সক্রিয় হতে রাষ্ট্রীয়ভাবে উৎসাহিত করা।
৯) বিগত সরকারের আমলে সৎ ও দক্ষ সকল শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ, যারা জুলুম ও বৈষম্যের শিকার হয়ে প্রমোশন বঞ্চিত/বাধ্যতামূলক অবসর গ্রহণকারীদের পুনরায় পদায়ন বিবেচনা।
১০) বৃহৎ ঋণ খেলাপীদের অর্থ ও বিদেশে পাচারকৃত সকল অর্থ দ্রুত ফিরিয়ে আনা এবং বৃহৎ ঋণ খেলাপী ও অর্থ পাচারকারীদের সামরিক আদালতে দ্রুত বিচার করা।
১১) কোটা বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় শিক্ষার্থী পরিবার, আহত পরিবার ও নিহত পরিবার হতে সমন্বিতভাবে অন্তত ১ জন কে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্ত করা।