অনলাইন ডেস্ক◊◊
আজ ৮ আগস্ট) মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকায় সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ হলে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বি এম এল-এর পুনর্গঠন দিবস উপলক্ষে দলীয় চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
প্রধান অতিথি নজরুল ইসলাম খান বলেন, মুসলিম লীগ একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশ আমলে মুসলিম লীগের অনেক নেতার জনপ্রিয়তা ছিল তবে অনেক মুুসলিম লীগ নেতার অতীত কর্মকান্ডের জন্য তারা জনপ্রিয়তা হারাইয়াছিল। ১৯৭১ সালে তারা যা করেছিল তা ছিল তাদের রাজনৈতিক ভূল। তারা যদি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব মেনে রাজনীতি করতে চায় তাদেরকে সেই সুযোগ দেওয়ার জন্য কলবরেটস এ্যাক্ট বাতিল করা হয়েছিল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সকল মত ও পথের ব্যক্তিদের এক ফ্লাট ফর্মে এনে দেশের কল্যানে কাজ করার জন্য সবাইকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়াছিলেন। স্বাধীনতা লাভের তীব্র আকাঙ্খা থেকে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিল। কিন্তু আমরা এখন কি দেখতেছি। স্বাধীনতার সুফল ছিনতাই হয়ে গেছে। ব্যালট বাক্সে ভোটের আগের দিন ব্যালট ভর্ত্তি হয়ে যায়। যেই সরকারের অধীনে এই রকম নির্বাচন হয় সেই সরকারের আমলে কোন নিরপেক্ষ সুষ্ঠ নির্বাচন হতে পারে না। তাই এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে, এই সংসদ বহাল রেখে, এই নির্বাচন কমিশনের মত অনুগত নির্বাচন কমিশন দিয়ে কোন নির্বাচন হতে পারে না নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এট এখন সকল দলের, মতের, পথের জনগনের দাবী। দেশকে বসবাসের অযোগ্য করা ফেলা হয়েছে। শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য অহেতুকভাবে অন্যায়ভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে। এটা সহ্য করা যায়না। যদি এই অত্যাচার সহ্য করা হয় তাহলে মুক্তিযোদ্ধাদের সহিত, গুম খুনের স্বীকার হওয়া ব্যক্তিদের সহিত, স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আন্দোলনরত জনগনের সহিত, হামলা মামলায় ক্ষতিগ্রস্থ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের সহিত বিশ¡াসঘাতকতা করা হবে। রাজনৈতিক কারনে যারা আইনকে ব্যবহার করে তাদের হাতে আইন তুলে দেয়া যায় না। দেশ ও জাতি নিরাপদ থাকতে পারে না। গনতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করতে হবে। এই স্বৈচাচারি সরকারকে বিদায় নিতে হবে। আন্দোলরত জনগণের বিজয় হবে ইনশাল্লাহ।
আলোচনা সভায় অংশ গ্রহণ করেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রাক্তন মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতিক, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব এড্ভোকেট আবুল কাশেম, জাগপার মহাসচিব অধ্যাপক ইকবাল প্রধান ইসলামিক ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মওলানা মোহাম্মদ ইলিয়াস রেজা, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ বিএমএল সহ সভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহ আলম, মহাসচিব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ তফাজ্জল হোসেন প্রমূখ।
Tags: নির্দলীয়