নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও কাঁচপুর হাইওয়ে থানা (ওসির) উদ্যোগে জমকালো আয়োজনে “জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসটি’’ পালন করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১১টা-৩টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্রগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট সহাসড়কের কাঁচপুৃর মেইন পয়েন্ট থেকে তারাব বিশ্বরোড, গাউছিয়া, মদনপুর এশিয়া হাইওয়ে রোড, মোগরাপাড় ও মেঘনা এলাকা জুড়ে সকল পুলিশ সদস্য সারিবদ্ধ ভাবে শো-ডাউনের মাধ্যমে (ওসি) মো: মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে দিবসটি বর্ণঢ্য আয়োজন করেন।
দিবসটির ¯েøাগানে বর্ণিত ‘‘মুজিব বর্ষের শপথ,সড়ক করবো নিরাপদ,, প্রতিটি মানুষের যোগাযোগ পথযাত্রা শুভকামনার লক্ষে। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার (ওসি) মো: মনিরুজ্জামান ও (টিআই) কেএম মেহেদী হাসানের অত্যন্ত প্রচেষ্টায় নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে ‘‘নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২০’’ উদ্যাপন করা হয়।
জানাগেছে, প্রতি বছরের ন্যায় চতুর্থবারের মতো সড়ককে নিরাপদ করার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হয়। এদিন জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের পাশাপাশি জাহানারা কাঞ্চনের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকীও পালিত করা হয়।
গত ২৬ বছর আগে বান্দরবানে চিত্রনায়ক স্বামী ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে যাওয়ার পথে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন। রেঁখে যান অবুঝ দু’টি শিশু সন্তান জয় ও ইমাকে। ইলিয়াস কাঞ্চন সেসময় সিনেমার শুটিংয়ে বান্দরবান অবস্থান করছিলেন। স্ত্রীর অকাল মৃত্যুতে দু’টি অবুঝ সন্তানকে বুকে নিয়ে শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে ইলিয়াস কাঞ্চন নেমে আসেন পথে। পথ যেন হয় শান্তির, মৃত্যুর নয়, এ স্লোগান নিয়ে গড়ে তোলেন একটি সামাজিক আন্দোলন ‘নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)। এধরনের একটি স্মৃতি চিত্র ধারণ করে ‘মেধা বিকাশের, মাধ্যমে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার টিআই মেহেদী হাসান তাঁর কন্ঠে দুর্ঘটনা নিয়ে গাওয়া একটি গানও রেকর্ড করেন। এ গানটি সড়কের উৎসব যাত্রায় বাজিয়ে বাজিয়ে দিবসটি উম্মোচন করেন পুলিশ।
এবিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসটি আমার একার নয়। এটি সকল সচেতন মহলের গুরুত্বপূর্ণ এ দিবস। এ দিবসটি অনেকের কাছে স্মৃতি হিসেবে বুকে ধারণ করে রেখেছেন। কারণ অনেক মানুষ সড়ক পথে জীবন হারিয়েছেন। যার পরিবারের সদস্য একজন হারিয়েছে, সে বুঝে হারানোর মর্ম কি? কাজেই ওই ব্যানারটির প্রতিষ্ঠতা চলচ্চিত্র অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন তাঁর পরিবারের স্ত্রীকে হারিয়ে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ‘‘সড়ক নিরাপদ চাই’’ ব্যানারটি রূপান্তরিত করে দুর্ঘটনার স্মৃতি পালন করেন বছরের এই দিনটিতে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আর সড়ক দুর্ঘটনা চাই না। সকলের সহযোগীতা নিয়েই মহাসড়কে শৃখলা ফিরিয়ে আনতে চাই। উন্নত বিশ্বের মতো আমাদের সড়ক ব্যবস্থা চাই। তাহলেই সকলের সেবায় আস্তে ধীরে দুর্ঘটনার হার কমে আসলে এ দিবসটি আমাদের সকলের কাছে স্বার্থক হবে বলে তিনি জানান ।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রী সভার বৈঠকে ২২ অক্টোবরকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও অনুমোদন করা হয়। একই বছরের ২২ অক্টোবর বাংলাদেশের চতুর্থবারের মতো জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হয়।