নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে থাকলেও নেতৃত্বের দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে, যা দুঃখজনক। স্বাস্থ্যখাতসহ বিভিন্ন খাতে সেবাদানকারী হিসেবে নারীদের ভূমিকা অগ্রগণ্য হলেও নেতৃত্বের জায়গায় তারা মাত্র ২৫ শতাংশ। এই দৃশ্যপট পরিবর্তনে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘ বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘উইমেন ইন লিডারশিপ: হোয়াট ডাস ইট টেক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পোর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সেলিমা আহমেদ এমপি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. মীরজাদী সাবরিনা ফ্লোরা, পুলিশের ডিআইজি আমেনা বেগম, মিডওয়াইফারি অফিসার মোসাম্মৎ করিমা বেগম, অল ফর ওয়ান ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন কামরুন্নেসা মীরা, ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি প্রমুখ।
এ সময় স্পিকার বলেন, করোনা মহামারি পরিস্থিতে নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ এই সময়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা, অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা প্রসারের মাধ্যমে অর্থনীতিতে নারীদের অবদান ছিল লক্ষ্যণীয়। তিনি আরো বলেন, নারীরা পরিবর্তনের শক্তিশালী ও কার্যকর প্রতিনিধি। নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অধিকতর নারী নেতৃত্ব জরুরি। নারী নেতৃত্বের এই অগ্রগায়নে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। এজন্য বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া ও স্থানীয় অভিজ্ঞতার সমন্বয় দরকার।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় তাদের অবদান অনস্বীকার্য। তাই সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায়, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের জন্য মূলধারায় নারিদের সম্পৃক্ততা জরুরি। পরিবারকে সামলানোর পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে নিজেদের যোগ্যতা প্রতিনিয়ত প্রমাণ করছে নারীরা। উদ্ভাবনী নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টরে নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে আনতে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে করোনা মোকাবেলায় সফলতার কারণে কমনওয়েলথ প্রদত্ত অন্যতম নারী নেত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ইন্সপায়রেশনাল লিডারশিপ’ সম্মাননা অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান স্পিকার। তিনি নারী দিবসের প্রাক্কালে ত্রিশ লক্ষ শহীদ, দুই লক্ষ সম্ভ্রম হারানো মা-বোন, জেলখানায় শহীদ জাতীয় চার নেতা ও ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।