সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক বিভাগের পুলিশের সার্জেন্ট সফিক ডাচ্ বাংলা ব্যাংক গোপালদী শাখার এক কর্মকর্তাকে সাইনবোর্ড লিংক রোড দিয়ে নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার পথে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।গতকাল (২৭ জুলাই) ৬ টার দিকে তানিয়া সুলতানা ফেইসবুক স্ট্যাটাসে তার স্বামীকে মারধরের অভিযোগ করেন।তানিয়া সুলতানা বলেন, আমি একজন ব্যাংকার আমার স্বামী নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার গোপালদী শাখার ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা।প্রতিদিন মহাসড়ক দিয়ে হোন্ডাযোগে অফিসে যাতায়াত করেন,কিন্তু রাস্তায় কাজ করার কারণে হোন্ডা উল্টো পথে আসার কারণে আমার স্বামীকে ৬ হাজার টাকা মামলা প্রদান করেন এবং বেধরক মারধরের করে বলে অভিযোগ করে তানিয়া সুলতানা।আমার স্বামী সার্জেন্ট সফিককে ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয় দিলেও তিনি কোন প্রকার ছাড় দেননি, তার উগ্র রোশানলে বদমেজাজি হিংসা পরায়ন ভাবে মামলা প্রদান ও বেধরক মারধর করেন। পরে পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে আমার স্বামীকে উদ্ধার করে । তানাহলে আমার স্বামীকে মেরে ফেলত ।আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই প্রশাসনের প্রতি এমন স্ট্যাটাস করেন ফেইসবুকে।এদিকে তানিয়া সুলতানা হাইওয়ে পুলিশ নিয়ে একটি ভুল ধারণা ছিল ,পরবর্তীতে তিনি বুঝতে পারলেন এই ধরণের কাজ হাইওয়ে পুলিশ করেনি ,করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের সার্জেন্ট সফিক তার বদ মেজাজ এর কারণে। এসময় গোপালদী শাখার ডাচ্ বাংলা ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে ফোনে জানতে চাইলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিয়ষে সার্জেন্ট সফিককে একাধিক বার মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেনি। এদিকে কাচঁপুর হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান থেকে সার্জেন্ট সফিক সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের হাইওয়ে পুলিশে সার্জেন্ট সফিক নামে কোন কর্মকর্তা নেই। এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক বিভাগের এক পুলিশ কর্মকর্তার সাথে জানতে চাইলে তিনি জানান, রাস্তায় সিসি ক্যামেরা ছিল সার্জেন্ট সফিক এধরণের কোন ঘটনা করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ (প্রশাসন) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, সার্জেন্ট সফিক ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে এধরনের কর্মকান্ডে লিপ্ত হয় তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠলে প্রশাসনিক ভাবে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।