নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি♦♦
নান্দাইলে তারের ঘাট বাজার ১৪৩১ সনের ইজারাকে কেন্দ্র করে মুশুল্লি ইউনিয়নের দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এসময় দলীয় কার্যালয়ে থাকা জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে।
বুধবার (১৩ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারে এমন ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রাতেই আওয়ামিলীগ নেতা মো. মোবাশ্বির আল আজম বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০-১২ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। রাতেই ঘটনাস্থল থেকে মাজহারুল ইসলাম রাজন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার আসামীরা হলেন- আগমুশুল্লি গ্রামের মৃত আ: মান্নানের পুত্র মাজহারুল ইসলাম রাজন ভূঁইয়া (৩২),মো. সুজন মিয়া (৪০),মো. খোকন মিয়া (৪৫),মৃত ফজলুল হকের পুত্র মো. মামুন মিয়া(৩৮),মো. মিজান মিয়া (৩৫) মো. জিদান মিয়া (৩২) ও আব্দুল বারীকের পুত্র খলিল মিয়া (৩৬)।
জানা গেছে,নান্দাইল উপজেলার তারেরঘাট বাজার ইজারা নিয়ে মুশুল্লি ইউনিয়নের আওয়ামিলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ মাষ্টার ও মাজহারুল ইসলাম রাজন ভূঁইয়া মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার রাত ৮ টার দিকে মাজহারুল ইসলাম রাজন ভূঁইয়া মুশুল্লি ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের দলীয় কার্যালয়ে সামনে এসে ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ ভূঁইয়াকে গালমন্দ করে। কার্যালয়ের সামনে হিরণ মিয়া নামের এক দোকানি গালিগালাজ বন্ধের বাধা দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র দোকানি হিরণ মিয়া কে মারধর ও আওয়ামিলীগের দলীয় কার্যালয়ের চেয়ার,অফিসে থাকা জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৫নং আসামী মো. মিজান মিয়া মুঠোফোনে বলেন, আওয়ামিলীগের কার্যালয় আমরা ভাংচুর করিনি। ইউনিয়নের সভাপতি লতিফ মাস্টার নিজেই তাদের দলীয় কার্যালয় ভাংচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ জানান, আওয়ামিলীগের দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনায় থানায় ৭ জনের নামে মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।