নরসিংদী প্রতিনিধি:
নরসিংদীর মাধবদীতে সরকারি পুকুর ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে
মাধবদী পৌর এলাকায় ৪ নং ওয়ার্ডে মজা পুকুর হিসেবে সরকারের কাছ থেকে লিজ এনে পুকুর ভরাটের কোন অনুমতি না নিয়ে সরকারি পুকুর ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। সরকারি পুকুরটি রক্ষার জন্য এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগও দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
জানা গেছে, প্রায় শত বছর ধরে জেলা শহরের মাধবদী এলাকার জমিদার কাচারী বাড়ি হিসেবে রেকর্ডকৃত খাস খতিয়ানভুক্ত ভুমিতে ৩৩শতাংশের একটি মজা পুকুর অবশিষ্ট রয়েছে। পুকুরের আশপাশ জুড়ে শত শত পরিবার বসবাস করে। জমিদারী আমল থেকে উক্ত পুকুরে এলাকাবাসী তাদের গোসল থালা বাসন ধোয়াসহ দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে আসছিল। এছাড়াও পুকুরটি এলাকার পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এমতাবস্থায় পুকুরটি ভরাট হয়ে গেলে বড় ধনের পরিবেশ বিপর্যয়ে পড়তে হবে এলাকাবাসীকে। এমনকি কোন সময় এলাকায় আগুনের ঘটনা ঘটলে পানির কোন ব্যবস্থা থাকবে না এই প্রকৃতি ছাড়া।
এলাকাবাসী জানান, জনৈক দেলোয়ার হোসেন জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি পুকুরটি রাতের আঁধারে এবং দুইদিন সরকারি বন্ধ সেই সুবাদে ভরাট করে প্লট আকারে বিক্রি করায় পাঁয়তারা করছে। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসী পুকুর ভরাটে বাধা দিলে দেলোয়ার হোসেন পেশি শক্তিকে কাজে লাগিয়ে রাতের অন্ধকারে পুকুরটি ভরাটের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যা বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ আইনের সুষ্পষ্ট লঘঙন।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পুকুরটি ভরাট না করার জন্য এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করেছে। তা করে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবে। এরপরেও রাতের আঁধারে পুকুর ভরাটের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগকারীদের পক্ষে এলাকাবাসী জানান।
এ ব্যাপারে পুকুর ভরাটকারী দেলোয়ার হোসেন মিডিয়ার সামনে কোন কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।