নরসিংদী প্রতিনিধি।।
বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ। এদেশের অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। সেই সব মানুষকে দারিদ্রের অষাগাত থেকে উদ্ধারের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
বর্তমান সরকারের ভিশন-৪১পূরণে সরকার নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বেসরকারী ভাবে অনুমোদন দিচ্ছে এনজিও সংস্থা গুলোকে। যাতে করে তারা শহর থেকে শুরু করে গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে তাদেরকে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করতে পারে।
অথচ সরকারের এই মহতী উদ্যোগকে কিছু অসাধু নামধারী এনজিও সংস্থা নিন্ম আয়ের মানুষের মাঝে উচ্চ সুদে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে অধিক মুনাফা আদায় করে গ্রাহকদের নিঃস্ব করে দিচ্ছে।
এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছে নরসিংদীর মাধবদী পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ডে গড়ে ওঠা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থায়। ঘটনার বিবরণে জানাযায়, মোস্তফা মিয়া নামে এক গ্রাহক এ সংস্থা থেকে ২৪% সুদে ৮০হাজার টাকা উত্তোলন করে। নিয়মিত কিস্তি পরিশোধের এক পর্যায়ে এ জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন এর মাঠ কর্মী কিস্তি মজার ১০ হাজার টাকা সঞ্চয়ের বইতে না লিখে নিজ পকেটে ঢুকিয়ে রাখে। যখন তাকে টাকা বইয়ে লেখার জন্য চাপ দেওয়া হয়। তখন সে দেই দিচ্ছি বলে তালবাহানা করতে থাকে।
এক সময় সে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যায়। সৃষ্টি হয় গ্রাহক ও এনজিও কর্মীর মাঝে দূরত্ব। সেই সুযোগে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন এর কর্মকর্তারা গ্রাহক মোস্তফার নামে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে।
পরবর্তীতে মোস্তফার নামে ওয়ারেন্ট জারি হলে মাধবদী থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে। সেই সুযোগে সংস্থার কর্মকর্তা গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ টাকা দিলে মোস্তফাকে থানা থেকে ছেড়ে দিবে মর্মে।
সমুদয় টাকা আদায় করে এখন বলছে আমাদের ম্যানেজার স্যার অফিসে নেই, ওনি আসলে কালকে কাগজপত্র তৈরি করে ঢাকা পাঠাবো তারপর আমাদের উকিল মোস্তফাকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করবে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী মোস্তফা সাংবাদিকদের জানান, আমার পরিবারের দাবী আমার ছেলে ১০ হাজার টাকা বেশি দিয়েও কেন জেল খাটবে।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক আরও ১০/১২ জন গ্রাহক জানান, যদি তাদের কাছে সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলন করতে চাই, তখন তারা বিভিন্ন তালবাহানা করে আমাদের ঘুড়ায়। আমরা গরীব বলে কি ন্যায় বিচার পাব না।