নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
নরসিংদীর শিবপুরে ডাকাতি করে পালানোর সময় সন্দেহভাজন দুই ডাকাত গণপিটুনিতে নিহত হয়। এসময় আহত অবস্থায় মানিক মিয়া (২৫) নামে এক ডাকাতকে আটককে জনতা আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। বুধবার দিবগত রাত তিনটার দিকে শিবপুর উপজেলার যোশর ইউনিয়নের মুরগীবের গ্রামে এ গণপিটুনির ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মাঝে একজন পরিচয় পাওয়া যায়। কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার কামালপুর এলাকার আমিনুল হকের ছেলে ডাকাত সোহেল মিয়া (৩০) ও অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি। আটককৃত ডাকাত মানিক কুলিয়ারচর উপজেলার পশ্চিম আব্দুল্লাহপুর এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
জয়নগর ইউনিয়নের বাটপাড়া গ্রামের কাঞ্চন মিয়া জানান, আমাদের তিন ভাইয়ে বাড়িতে ১০/১৫ জনের একদল ডাকাত ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতর ডোকে। ডাকাতরা বাড়ীর সবাইকে হাত পা বেধে ঘর থেকে স্বর্ণ অলাংকারসহ প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতি করে ডাকাতরা যাওয়ার পর স্থানীয় এক লোক স্থানীয় এক মসজিদের এলাকায় ডাকাত পড়েছে এমন মাইকে এলাউন্স করলে পরে স্থানীয় যোশরের মুরগীব গ্রামে ডাকাতদের এলাকাবাসী আটক করে। এতে ডাকাতদের গনপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই ১ ডাকাত নিহত হয় অপর ডাকাত অসুস্থ অবস্থায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাস্তায় মার যায়। আহত অবস্থায় মানিক মিয়া নামে ১ ডাকাত জনতা আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, বুধবার দিবাগত রাতে যোশরে মুরগীব গ্রাম থেকে এক লোক ফোনে জানান, ডাকাত সন্দেহে মুরগীবের গ্রামে গনপিটুনি দিয়েছে। খবর পেয়ে সাথে সাথে পুলিশ ঘটনা স্থলে যায়। গনপিটুনিতে ১জন ডাকাত ঘটনা স্থলে মারা যায় অপর এক ডাকাতকে গুরুত আহত অবস্থায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে রাস্তায় মারা যায়। আরেক ডাকাত মানিক মিয়াকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়। মৃত সোহেলের বিরুদ্ধে ২টি হত্যা , ১টি চুরি, ১টি অস্ত্র, ১টি নারী নির্যাতনসহ মোট ৫টি মামলা রয়েছে এবং আটককৃত মানিকের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বের ১টি চুরি মামলা রয়েছে। নিহত ডাকাতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। ডাকাতির ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও তিনি জানায়।